রাজধানীর গুলশানে সাবেক নারী সংসদ সদস্যের (এমপি) বাসায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত নেতা জানে আলম অপুর চাঁদাবাজির ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, চাঁদাবাজির সঙ্গে আমার কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। যা বলা হচ্ছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একজনের যে স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে, তা জোর করে নেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, মাঝেমধ্যে রাতে তার কাজ শেষ হতে ভোর হয়ে যায়। সে সময় বাসায় খাওয়া-দাওয়া দেওয়ার মতো কেউ না থাকায় তিনি বেশির ভাগ সময় ৩০০ ফুটের নীলা মার্কেটে যান হাঁসের মাংস খেতে। আর বেশি ভোর হয়ে গেলে নীলা মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়, তখন তিনি যান গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে। তবে ওই দিন আমি গিয়েছিলাম কিনা, সেখানে ছিলাম কিনা এটা আমার মনে নাই।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, তার (অপু) স্টেটমেন্টে আমার নাম আসার পর একরকম অবাক হয়েছি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর তার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। তার স্ত্রী পরিচয়ে একজন আজ বলেছেন, তাকে জোর করে গুম করে স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকেও এমন শুনছি, গুম করে স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়। ৫ আগস্টের পর এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, সিসিটিভিতে যে কাউকে যদি আমি বলে দাবি করা হয়, এটা আসলে কতটা বিশ্বাসযোগ্য আমি জানি না। এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। এটা তদন্তের অধীনে একটা বিষয়। তারপরও অনেক কিছু বললাম, কারণ আমার নাম এসেছে। তবে হেলমেট পরা যে কাউকে যে কারও সঙ্গে মিলিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।
উপদেষ্টা আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে, অর্থাৎ আগে রাজনীতি করেছেন বা পরবর্তী সময়ে করবেন বলে চিন্তা আছে, সবারই সরকার থেকে সরে যাওয়া উচিত।
আসিফ মাহমুদ বলেন, নির্বাচন করার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেবো। এনসিপিতেই যোগ দেবো, নিশ্চিত নয়।
উপদেষ্টা আসিফ আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে এখন পর্যন্ত না করতে পারার পাল্লাটাই ভারী। জনগণ অভ্যুত্থানের সুফল পেয়েছে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে কতটা সুফল পেয়েছে তা বলা কঠিন। সব জনগণই বলতে পারবে।