• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার কমে এসেছে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২২, ০৮:০৮ পিএম
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার কমে এসেছে’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার অনেক কমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, “২০১৯ সালে করোনা শুরু হওয়ার পরে অনেক জায়গায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অপব্যবহার হতো, এখন এই অপব্যবহার অনেকাংশে কমে এসেছে। থানায় গেলেই এখন আর মামলা নেয় না।”

শনিবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বনানীতে এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের আয়োজনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিতর্ক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য হয়নি উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, “এই আইন জনস্বার্থে হয়েছে। যদি কেউ মনে করেন, এই আইন সাংবাদিকদের টার্গেট করে, তা কিন্তু নয়। যদি আপনাকে অপরাধের ভিত্তিতে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেক্ষেত্রে এই আইন জরুরি।”

আইনমন্ত্রী বলেন, “সাজা কমানোর বিষয়ে আলোচনার পর সবাই কিন্তু রাজি হয়েছিলেন। এই আইনের যেহেতু প্রয়োজন আছে এটি আইন করা হোক। সেই কারণে আইন বানানো হয়েছে। ২০১৮ সালে এই আইন হওয়ার পর ২০১৯ সালে করোনা শুরু হওয়ার আগে আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি যে, এই আইনের কিছু কিছু অপব্যবহার ও হয়রানি হয়েছে। এই অপব্যবহার ও হয়রানি বন্ধ করার জন্য আমরা সচেষ্ট।”

বিভিন্ন দেশের আইন পর্যালোচনা করা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “গুড প্র্যাক্টিসেস নিয়ে এখনো আলোচনা করছি। এ বিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বসেছি, আমরা একমত হয়েছি যে– এই আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকদের আগে গ্রেপ্তার করা হবে না। পাশপাশি যে কেউ মামলা করুক না কেন সেটাকে এই মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমি তো কোর্টকে বলে দিতে পারি না, যেহেতু বিচার বিভাগ স্বাধীন। যে অভিযোগগুলো আসছে সেগুলো ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যে ধারাগুলো আছে সেগুলোর কমপ্লেইন কি না তা দেখার জন্য আইসিটি অ্যাক্টের একটি সেল আছে। সেই সেলটিকে কার্যকর করে এই অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কোনো ধারার মধ্যে পড়ে কি না, সেটা দেখে তারপর কোর্টে কিংবা থানায় পাঠানোর পর এটা মামলা হিসেবে রুজু করা হবে।”

Link copied!