জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল–১ এ রায় ঘোষণা করে।
তিনটি পৃথক অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও দুই অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থান–সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম রায়।
যদিও ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেছে, আইনি প্রক্রিয়ায় এটি শেষ ধাপ নয়। রায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করে আদালতের সামনে হাজির হতে হবে। এরপর তাঁর আইনি পথচলা পরিচালিত হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩–এর বিধান অনুযায়ী।
শেখ হাসিনার আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালের এই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সরাসরি আপিল করতে পারবেন।
আপিলে দেখানো যাবে— আইনি ত্রুটি, প্রমাণের ভুল ব্যাখ্যা বা অপপ্রয়োগ অথবা বিচার প্রক্রিয়ার অনিয়ম।
আপিল বিভাগ যাচাই করবে মামলার প্রত্যেকটি ধাপ আইন অনুযায়ী হয়েছে কি না। শুনানির পর তারা রায় বহাল, সংশোধন বা বাতিল—যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের পর আসামিপক্ষ চাইলে রিভিউ আবেদন করতে পারে। এতে নতুন প্রমাণ, গুরুত্বপূর্ণ আইনি ভুল বা বিচারিক অন্যায়ের অভিযোগ তোলা সম্ভব। রিভিউতেও আদালত রায় বহাল রাখতে, সংশোধন করতে বা পুনঃশুনানির নির্দেশ দিতে পারে।
এটিই আনুষ্ঠানিক বিচারিক প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপ।
রিভিউয়ের রায়ও যদি শেখ হাসিনার অনুকূলে না যায়, তাহলে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা, দণ্ড মওকুফ, হ্রাস বা স্থগিতের আবেদন করতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি চাইলে দণ্ড কমাতে বা বাতিল করতেও পারেন।


































