• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

বিদেশগামী যাত্রীরাই ছিলেন মূল টার্গেট


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২১, ০২:২৪ পিএম
বিদেশগামী যাত্রীরাই ছিলেন মূল টার্গেট

করোনার টিকা প্রাপ্তির খুদে বার্তা (এসএমএস) দ্রুততম সময়ে পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় চারটি মোবাইল ফোন। 

গ্রেপ্তাররা হলেন মো. নুরুল হক (৪৭), মো. সাইফুল ইসলাম (৩০), মো. ইমরান হোসেন (২৩) ও মো. দুলাল মিয়া (৩৭)।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, দেশে করোনার টিকা প্রদানের শুরু থেকে কিছু প্রতারক রাজধানীতে টিকা পাওয়ার এসএমএস দ্রুত প্রাপ্তির লোভ দেখিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণ করে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে বুধবার চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এই প্রতারক চক্রটির মূল টার্গেটই ছিল বিদেশগামী যাত্রীরা।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও জানান, গ্রেপ্তার সাইফুল ও ইমরান রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে বিদেশগামী যাত্রীদের দ্রুত টিকা প্রাপ্তির খুদে বার্তা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। ভুক্তভোগী সেই প্রলোভনে পা দিলে তাকে নিয়ে যাওয়া হতো চক্রের মূল হোতা মো. নুরুল ইসলামের কাছে। সেখানে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দর-কষাকষি করতেন নুরুল। টাকার পরিমাণ ঠিক হলে ভুক্তভোগীকে নিয়ে যাওয়া হতো দুলালের কাছে। দুলাল ভুক্তভোগীকে কয়েক দিনের মধ্যে টিকার খুদে বার্তা পাওয়ার আশ্বাস দিতেন।

আল মঈন আরও জানান, চক্রটি রাজধানীর মুগদা, শাহবাগ, রমনা, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর, মহাখালী এলাকায় বেশি সক্রিয় ছিল। তারা এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে প্রতারিত করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেকের কাছ থেকে আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে র‌্যাবকে জানিয়েছে।

র‌্যাব আরও জানায়, মো. নুরুল হক দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। ২০১৮ সালে দেশে এসে ভিসা জটিলতায় আর ফিরে যেতে পারেননি। ইমরান একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরিরত ছিলেন। সাইফুল একটি সরকরি সংস্থায় আউটসোর্সিং করতেন। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর এখন রমনা এলাকায় চা বিক্রি করেন। আর দুলার একটি সরকারি হাসপাতালে আউটসোর্সিং অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

 

Link copied!