• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬

বনভূমিতে প্রশিক্ষণ একাডেমির জন্য জমি বরাদ্দ স্থগিত


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২১, ০৯:৪০ পিএম
বনভূমিতে প্রশিক্ষণ একাডেমির জন্য জমি বরাদ্দ স্থগিত

সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের লক্ষ্যে কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনভূমির ৭০০ একর জায়গা বরাদ্দ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই বরাদ্দ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

সোমবার (১১ অক্টোবর) এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিঞা ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এসময় আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিবেশ ও বন সচিব, ভূমি সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘৭০০ একর বনভূমি প্রশাসন একাডেমির জন্য বরাদ্দ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আরেকটি প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণ করতে ‘সংরক্ষিত বনভূমির’ ৭০০ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন ঝিলংজা বনভূমির ওই এলাকা প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন।

বন বিভাগ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আপত্তি উপেক্ষা করে ভূমি মন্ত্রণালয় এই জমি বরাদ্দ দিয়েছে।

এই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন দাখিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ মো. মনিরুজ্জামান কবির। শুনানিতে তিনি বলেন, ৭০০ একর বনভূমির মালিক বন বিভাগ। তাদের আপত্তি উপেক্ষা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এ ভূমি বরাদ্দ দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। যদিও এই বনভূমির মালিক ভূমি মন্ত্রণালয় নয়। 

শুনানিতে আইনজীবী বলেন, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা রক্ষার জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় রয়েছে। সেখানে সরকারের একটি বিভাগ ৭০০ একর বনভূমি ধ্বংস করে সেখানে প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের জন্য এই জমি বরাদ্দ নিয়েছে। যদি এখানে একাডেমি করা হয় তাহলে ভয়াবহ পরিবেশগত বিপর্যয় নেমে আসবে।

শুনানি শেষে হাইকোর্ট বনভূমি বরাদ্দ তিন মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেন।

Link copied!