মানিকগঞ্জে করোনার টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এবং তারা সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
রোবেদ আমিন বলেন, “মানিকগঞ্জে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী যেসব শিক্ষার্থীর করোনার টিকা দেওয়া হয়েছিল, তাদের আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। তারা সবাই সুস্থ আছে। তাদের কারও কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।”
এই অবস্থায় স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে কোনো অসুবিধা নেই বলে তিনি জানান।
জানা যায়, মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ অক্টোবর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে জাহিদ মালেক বলেন, “১ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৪০ হাজার স্কুলশিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দেওয়া হবে। ঢাকার ১২টি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ নেই, সেখানে ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি জেলায় স্কুলের ছেলেমেয়েদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রমও শুরু হয়ে যাবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা নিজেরা সবটা করতে পারি না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তালিকা করে, সেই তালিকা আমরা আইসিটি মন্ত্রণালয়কে দিই। তারা নিবন্ধন করার পরে আমরা কার্যক্রম শুরু করতে পারি।”
মন্ত্রী বলেন, “যতদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় তালিকা দেবে, টিকা মজুত ও প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা টিকা দিতে থাকব।”
ফাইজারের টিকা বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, “আমরা স্কুলের ছেলেমেয়েদের ফাইজার টিকা দিচ্ছি। আমাদের হাতে ফাইজার টিকা মজুত আছে। নভেম্বরেও আরও ৩৫ লাখ ডোজ টিকা চলে আসবে।”