অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলছে নানা কর্মযজ্ঞ। নির্মাণ করা হচ্ছে নান্দনিক বিভিন্ন স্টল। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য গত কয়েক বছরের মতো এবারও নির্মাণ করা হচ্ছে বাঁশের বিভিন্ন শৈল্পিক কাঠামো। এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “পড় বই গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”। মাসব্যাপী এই মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বইপ্রেমী সবার জন্য থাকবে উন্মুক্ত।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা যায় বিশাল আয়তন জুড়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে বইমেলার প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুটের বিশাল এলাকা জুড়ে মেলা হবে। প্রতিটা স্টলের সামনে বেশ বড় অংশ ফাঁকা রেখে মেলার ডিজাইন করা হয়েছে। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্য রমনার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে দিয়ে নতুন করে রাখা হয়েছে একটি প্রবেশ পথ। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও মেলার নকশা করবেন স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর।
বাংলা একাডেমির জনসংযোগ ও সমন্বয় উপকমিটির তথ্য অনুযায়ী, এবারের মেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৪৭০টি প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকছে। এর মধ্যে ৩৬৭টি সাধারণ প্রতিষ্ঠান, শিশু চত্বর ৬৯টি প্রতিষ্ঠান এবং প্যাভিলিয়ন আছে ৩৪টি। অন্যদিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সাধারণ প্রতিষ্ঠান ১০৩টি ও প্যাভিলিয়ন আছে ১৪৭টি। সবমিলিয়ে ৫৭৩টি প্রতিষ্ঠান এবং সর্বমোট ৭০৪টি (প্যাভিলিয়ন বাদে) স্টল থাকছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে ফুডকোর্ট, নামাজের জায়গা ও ওয়াশরুম।
বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, মেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে অমর একুশে বইমেলার জন্য প্রত্যেক সেক্টর থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবারও একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরূল হুদাকে সভাপতি করে ৩১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নানা বিষয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :