• ঢাকা
  • রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬

কথাসাহিত্যিক জুলফিয়া ইসলামের বই নিয়ে আলোচনা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৩:০০ পিএম
কথাসাহিত্যিক জুলফিয়া ইসলামের বই নিয়ে আলোচনা

দেশের প্রকাশনাশিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করল জুই প্রকাশন। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি)  বিকাল ৫টায় জুই প্রকাশনের আয়োজনে বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ মিলনায়তনে কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, গীতিকবি, শিল্পী জুলফিয়া ইসলামের বইয়ের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনস্তত্ত্ববিদ ও খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক এবং আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আজ সারাবেলার সম্পাদক ও লেখক জব্বার হোসেন।

আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ রহিম কিবরিয়া, একাডেমি অব লার্নিংয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ সোলায়মান হোসেন, মঞ্জুর মোরশেদ, মুতাসিম হাসান, জুবায়ের।

সূচনা বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, “সাহিত্যের পথটি খুব মসৃণ নয়। কখনো কখনো সঙ্গহীন। লেখককে একা পথেই হেঁটে যেতে হয় দীর্ঘ সময়। জুলফিয়া সে যাত্রাপথের অনেকটাই অতিক্রম করেছেন। লেখক হিসেবে অসম্ভব পরিশ্রমী তিনি। জুলফিয়া একই সঙ্গে উপন্যাস, প্রবন্ধ, গল্প ও গান লিখে চলেছেন। তার এই বহুমাত্রিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে।”

অধ্যাপক ড. মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমি জুলফিয়ার প্রবন্ধসমগ্র পাঠ করেছি গভীর মনোযোগ দিয়ে। সমাজ, রাষ্ট্র ও মানবিক বিষয়াদি তিনি এত নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন, যা প্রশংসা না করে পারা যায় না। এত বিপুল বিস্তারিত যার লেখার পরিমাণ, তিনি নিঃসন্দেহে একজন মেধাবী লেখক। নারী লেখক হিসেবে তাকে আলাদা করতে চাই না। তাহলে তার শ্রম ও মেধার প্রতি অন্যায় হবে।”

অনুষ্ঠানে জুলফিয়া ইসলামের পাঠকরাও তাদের অভিমত জানিয়েছেন।

জুই প্রকাশনের পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্প এক ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ সংকটের মধ্য দিয়েও আমাদের সামনে এগোতে হবে। আমরা চাই গ্রন্থের মধ্য দিয়ে দেশের প্রতি মমত্ব ও দায়িত্ববোধের প্রকাশ ঘটুক চেতনা ও সৃজনশীলতায়।”

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বলেন, “জুলফিয়া নিরলসভাবে সাহিত্যের জন্য শ্রম বিনিয়োগ করে যাচ্ছেন। একজন লেখকের এ পরিশ্রমটি তার সবচেয়ে বড় পুঁজি। তা না হলে জুলফিয়া ইসলাম তার উপন্যাসসমগ্র, প্রবন্ধসমগ্র, মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসসমগ্র প্রকাশ করতে পারতেন না। জুলফিয়ার এই শ্রমলব্ধ ধারা অব্যাহত থাকুক।”
 

সাহিত্য-সংস্কৃতি বিভাগের আরো খবর

Link copied!