• ঢাকা
  • রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

শিশুর পক্ষ থেকে কি কোরবানি দেওয়া যাবে?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫, ১০:১১ পিএম
শিশুর পক্ষ থেকে কি কোরবানি দেওয়া যাবে?
ছবি: সংগৃহীত

কোরবানি ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান  প্রত্যেক মুসলিমদের উপর কোরবানি দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। 

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
"নিশ্চয় আমি তোমাকে কাওসার দান করেছি। সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করো ও কোরবানি করো। নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ।" (সুরা কাওসার: ১-৩)

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না সে যেন আমাদের ইদগাহে না আসে।" (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১২৩)

প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ অর্থাৎ সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা তার সমমূল্যের অতিরিক্ত সম্পদের মালিক হলেই সেই মুসলিমের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। তবে এক্ষেত্রে সফররত ব্যক্তি, মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ব্যক্তি এবং শিশুর নামে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলেও কোরবানি করা ওয়াজিব হবে না।

শিশুদের পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া নিয়ে অভিভাবকদের মনে দ্বিধা থাকে। অভিভাবকরা কোরবানি দিয়েও থাকেন। তবে প্রাপ্তবয়স্ক শিশু ব্যতিত কোরবানি করা ওয়াজিব হবে না। শিশুর বাবা-মা নিজের সম্পদ দিয়ে শিশুর পক্ষ থেকে কোরবানি করতে পারেন। সেটি নফল কোরবানি হিসেবে শুদ্ধ হবে বলে ইসলামে বলা রয়েছে।

জিলহজের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে যে কোনো সময় নেসাবের মালিক হলে কোরবানি ওয়াজিব হবে। এক পরিবারে একাধিক ব্যক্তি সামর্থ্যবান হলে প্রত্যেকের পক্ষ থেকে পৃথক কোরবানি করা ওয়াজিব। তবে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে বা মেয়ে সামর্থ্যবান  হলে অর্থাৎ উল্লিখিত পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে অভিভাবকের দেওয়া কোরবানি যথেষ্ট হবে না। এক্ষেত্রে তাদের সম্পদ থেকেই পৃথক কোরবানি করা ওয়াজিব হবে।

Link copied!