সুন্দর সম্পর্কের যেমন কিছু লক্ষণ থাকে, তেমনি সম্পর্ক নড়বড়ে হলেও কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে আমাদের কর্মকাণ্ডে। অনেক সময় এসব লক্ষণ আমরা ধরতে পারি না। বিশেষজ্ঞরা এসব চিহ্নিত করেছেন, পাশাপাশি সম্পর্ক নড়বড়ে হলে কী করণীয়, সে সম্পর্কেও বলেছেন। চলুন, জেনে নিই-
ঘৃণা
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা থেকে উঠে এসেছে, একে অপরের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনের কারণে সম্পর্ক শেষ হয়ে যেতে পারে। সঙ্গীর পছন্দকে অপমান বা অবজ্ঞা করা, কথায় ঘৃণা প্রকাশ করা কিংবা সঙ্গীকে উপহাস করা। এসব আচরণ সঙ্গীর আত্মবিশ্বাস এবং অনুভূতিকে নাড়া দেয়। সহজভাবে বললে, পারস্পরিক সম্মান হারানো যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দেখা দিতে পারে।
তিরস্কার
সঙ্গীর আচরণ নিয়ে তিরস্কার করা একবারেই উচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শব্দচয়নে সতর্ক হতে হবে। সমস্যা ও পরিণতিটা বুঝিয়ে আলোচনায় বসুন। আর তা না করলে সঙ্গী ভাববে, তিনি কখনোই ভালো কিছু করেন না। আর এতেই সম্পর্ক শেষ হতে পারে। তাই একে অপরকে তিরস্কার না করে কীভাবে সম্পর্কের ভীত শক্ত করা যায়, সেই চেষ্টা করা উচিত।
নীরব থাকা
আপনার পছন্দমতো কাজ করতে না পারলেও আপনি দিনের পর দিন এটা নিয়ে বিরক্ত হন এবং এ বিষয়ে আলোচনা না করে নীরব থাকেন। হয়তো ভাবেন, নীরব থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু এভাবে নীরব থাকলে আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে দেয়াল তৈরি হবে। সেই দেয়াল ভেদ করে আর বেরিয়ে আসা সম্ভব হয় না। ধীরে ধীরে সম্পর্ক ঠুনকো হয়ে যায়। তাই নীরব না থেকে সঙ্গীর সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করুন।
গুরুত্ব না দেওয়া
একে অপরকে অগ্রাধিকার দেওয়া, সঙ্গীর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া যেকোনো সম্পর্কের মৌলিক বিষয়। অনেক সময় আপনার মনে হতে পারে, সঙ্গীকে খুশি রাখতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে। সঙ্গীর জন্য বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারকে সময় দেওয়ার সুযোগটুকুও পাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতি যে সামনে আসে না, তা নয়। তাই বলে হুট করে চটে না গিয়ে কথা বলুন। সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে সঙ্গীর পরামর্শ নিন। আপনার সঙ্গী যেন বুঝতে পারে, আপনি তাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :