• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

রান্নাঘরের ৩০ টিপস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৩, ০৫:০৪ পিএম
রান্নাঘরের ৩০ টিপস

পাক্কা গৃহিনীরও অনেক সময় নাজেহাল হতে হয় রান্নাঘরের নানারকম ছোটখাটো ঝুটঝামেলা সামলাতে গিয়ে। তাই চলুন কিছু সমাধান দেখে নিই ।

টিপসগুলো হল

  • পাত্রের কিনারে সামান্য মাখন বা গ্লিসারিন লাগিয়ে দিলে দুধ উথলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। 
  • ফ্রিজে একটি পাতি লেবু টুকরো করে কেটে রেখে দিন দেখবেন ফ্রিজের ভেতরে কোনো গন্ধ নেই।
  • কিছু কিছু সবজি কাটার পর হাতে কালচে দাগ হয়, তাই কাটার আগে হাতে সরষের তেল অথবা ভিনিগার মিশিয়ে নিলেও দাগ হবে না।
  •  চায়ের কাপে লেগে থাকা বাদামী রংয়ের দাগ লবণ দিয়ে ঘষলে উঠে যায়।
  • পানিতে সামান্য কেরোসিন তেল মিশিয়ে রান্নাঘর মুছলে মাশা-মাছি ও পিঁপড়ের উৎপাত কমে যায়।
  • খানিকটা কর্পূর ছিটিয়ে দিলে ছারপোকার উপদ্রব থাকবে না।
  •  বাটা মশলা সামান্য তেল ও লবণ মাখিয়ে রেখে দিলে অনেকদিন পরও ব্যবহার করা যায়।
  •  বাসনপত্রে কয়েক ফোটা ভিনিগার ছিটিয়ে ধুয়ে নিলে আঁশটে গন্ধ থাকে না।
  • ভাজার জন্য কেটে রাখা বেগুন বেশ কিছুক্ষণ আগে লবণ-হলুদ মাখিয়ে রাখলে ভাজতে তেল কম লাগে।
  •  পাত্রের পোড়া দাগ উঠাতে পাত্রের গায়ে বেকিং সোডা এবং সামান্য পানি দিয়ে মেখে কয়েক ঘন্টা রেখে ধুয়ে নিলে দাগ চলে যাবে।
  • চিনির পাত্রে কয়েকটি লবঙ্গ রাখলে পিঁপড়া আসবে না।
  •  রান্নাঘরে কাগজ পোড়া ধোঁয়া দিলে মাকড়সার উৎপাত কমে যাবে।
  • তেলে আচার ডুবিয়ে রাখলে আচারে ফাঙ্গাস পড়ে না অথবা আচার তৈরি করার সময় তেলে একটু ভিনিগার মিশিয়ে নিলে আচার অনেকদিন ভালো থাকে।
  • রেফ্রিজারেটর ঘন ঘন খুললে ও বন্ধ করলে ভেতরে বাতাস ঢুকে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং বিদ্যুৎ খরচও হয় বেশি। তাই বারবার না খুলে চেষ্টা করতে হবে রান্নায় যা যা লাগবে তা একবারে বের করে নেয়া।
  • দেশলাই বাক্সে কয়েকটা শুকনো চাল রেখে দিলে বর্ষাকলেও দেশলাই কাঠির বারুদ ভাল থাকে।
  •  রান্নার সময় হাতে হলুদের দাগ হলে, আলুর খোসা ছাড়িয়ে হাতে ঘষে ধুয়ে নিলে আর হলুদের দাগ থাকে না।
  •  একসঙ্গে অনেক রসুন ছাড়াতে সময় বেশি লাগে। আস্ত রসুন ফুটন্ত জলে মিনিট দুয়েক ভিজিয়ে হাতে ঘষলে ওপরের খোসা ছেড়ে যায়।
  • রান্নার সময় সাধারণ হাঁড়ি-পাতিলের পরিবর্তে প্রেসারকুকার ব্যবহার করুন। এতে সময় কম লাগবে।
  • আটার ভুষি দিয়ে বাসন মাজলে পরিষ্কার ও ঝকঝকে হয়।
  • রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত খাবার দ্রুত গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করুন।
  •  পিঁয়াজ কাটার আগে দুফালি করে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে কাটলে চোখে পানি আসে না।
  • পরদিন রান্না করার জন্য মাংস সেদ্ধ এবং ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
  • ঘরের বাইরে খাবার নিতে হলে যদি সাধারণ টিফিন বাক্স ব্যবহার করা হয় তাহলে খাবার বাতাসে ঠান্ডা করে নিতে হবে। কখনোই গরম গরম খাবার বাক্সে নেওয়া যাবে না, এতে খাবার গন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • ভাত রান্না করার ক্ষেত্রে রাইসকুকার ব্যবহার করুন।
  •  রান্না করা খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখার আগে বাতাসে ঠান্ডা করে নিতে হবে। গরম খাবার রাখলে রেফ্রিজারেটর নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  • সবজি পরিষ্কার করে কেটে প্যাকেটজাত করে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন। এতে  সময় কম ব্যয় হবে।
  • পেয়াঁজ এবং আলু একসঙ্গে একই পাত্রে রাখলে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
  •  রান্নার সময় কোনো কিছু মাপার জন্য পরিমাপক পাত্র (কাপ, চামচ) ব্যবহার করুন। কাজে সুবিধা হবে।
  • ভারী বেগুণের থেকে হালকা বেগুণ ভালো। কারণ ভারী বেগুণে বিচি বেশি থাকে।
  •  ডিম ফাটানোর সময় সাদা অংশটা আলাদা করার জন্য ফেটানো ডিম ছাকনিসহ ফানেলের মধ্যে ঢালুন, দেখবেন সাদা অংশ নিচে পড়েছে, কুসুম উপরে রয়ে গেছে।
Link copied!