• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অ্যাকুরিয়ামে মাছ রাখার নিয়ম


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৩, ০৩:০২ পিএম
অ্যাকুরিয়ামে মাছ রাখার নিয়ম

অ্যাকুরিয়ামে মাছ ছাড়া কারও কাছে শুধু শখ, আবার কারও কাছে নেশা। যারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ, তারা অবশ্যই জানেন, মাছ দেখতে ভালো লাগলেই তা কিনে ফেলা যায় না। কোন মাছ কেমন আবহাওয়ায় থাকতে পারে, বড় হলে কতটা জায়গা প্রয়োজন কিংবা একাধিক প্রজাতির মাছ একসঙ্গে থাকতে পারে কি না, সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তবেই মাছ কেনা উচিত। এ ছাড়া অ্যাকুরিয়ামের জন্য মাছ কেনার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই জেনে রাখা জরুরি।

কেমন প্রজাতির মাছ
বাড়িতে রাখার জন্য সাধারণত গোল্ড ফিশ, গাপ্পি, গোরামি, কিসিং ফিশ, জেব্রা বা অ্যাঞ্জেলের মতো মাছ বেছে নেন অনেকে। তবে কেনার আগে মাথায় রাখতে হবে সব প্রজাতির মাছ সব রকম আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে উঠতে পারে না। সে অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে যতই ফিল্টার, এয়ার পাম্প বা হিটার থাকুক না কেন, মাছের সমস্যা হতে পারে।

খাবারের ধরন
সব মাছ একধরনের খাবার খায় না। এমনকি একেক ধরনের মাছ পানির একেক স্তর থেকে খাদ্যবস্তু সংগ্রহ করে। কাজেই অ্যাকুরিয়ামে থাকা মাছের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে অবগত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাবার না পেলে যেমন মাছের স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে, তেমনই অতিরিক্ত খাবার তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।

শান্ত না রাগী
অন্যান্য পশুপ্রাণীদের মতো মাছেদেরও নিজস্ব এলাকা থাকে। বিশাল সমুদ্রের তলদেশে তারা নিজেদের জায়গা নির্বাচন করে আলাদা আলাদা জায়গায় থাকে। কিন্তু অ্যাকুরিয়ামের মতো ছোট জায়গায় তা সম্ভব নয়। তাই স্বভাবে শান্ত প্রজাতির ‘গোল্ড ফিশ’-কে রাগী ‘ফাইটার’-এর সঙ্গে না রাখাই ভালো।

পানি
কল থেকে অ্যাকুরিয়ামে পানি ভরে, তার মধ্যে মাছ ছেড়ে দেওয়া যায় না। মাছ ছাড়ার আগে অ্যাকুরিয়ামের জন্য আলাদা করে পানির ব্যবস্থা করতে হয়। পানির পিএইচের মাত্রা কেমন, তা যেমন মাথায় রাখতে হয়। তেমন পানিতে অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট কিংবা নাইট্রাইট জাতীয় যৌগগুলোর মাত্রা কেমন, সেসব মেপে দেখে নেওয়া জরুরি। আবার সব প্রজাতির মাছ একই রকম পানিতে বাস করতে পারে না। একটি অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে তো প্রজাতি অনুযায়ী আলাদা করে পানির ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাই কোন প্রজাতির মাছ কেমন পানিতে থাকতে পারে, তা জেনে নেওয়া জরুরি।

কতগুলো মাছ রাখা যায়
অ্যাকুরিয়ামের আকার ও আয়তন অনুযায়ী কতগুলো মাছ পাশাপাশি রাখা যায়, তা জেনে রাখা প্রয়োজন। মাছের সংখ্যা যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়।

Link copied!