• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফ্রিজে না রেখেও বেশিদিন ভালো থাকে যেসব খাবার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩, ১২:০৩ পিএম
ফ্রিজে না রেখেও বেশিদিন ভালো থাকে যেসব খাবার

সব জিনিস ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে আমরা সবকিছু ফ্রিজে রেখে দিই। কোন জিনিসগুলো ফ্রিজে না রাখলেও অনেক দিন ভালো রাখা সম্ভব, চলুন জেনে নিই—

ভিনেগার
ভিনেগার, সয়া সস বা মাস্টার্ড সস ভালো থাকে অনেক দিন। অনেকেই ভিনেগার এবং সয়া সস ফ্রিজে রাখেন। কিন্তু এগুলো ফ্রিজের বাইরে রাখলেও ভালো থাকবে। অসুবিধা হবে না।

লবণ
লবণ কিংবা চিনি আপনি যত খুশি কিনে রাখতে পারেন। রান্নাঘরে বায়ুনিরোধী কৌটায় রাখলে ভালো থাকবে দীর্ঘদিন। চিনির বদলে আপনি যদি মধু খান, সেগুলোও একই তালিকায় পড়বে। খাঁটি মধু কোনো দিন খারাপ হয় না। ফ্রিজে রাখারও তাই প্রয়োজন নেই।

ড্রাই ফ্রুট
আমসত্ত্ব কিনেছেন বেশ খানিকটা। কাজু, কিশমিশ, খেজুর কিনে পড়ে রয়েছে বেশ কয়েক মাস। নিয়মিত চিয়া বা কুমড়ার বীজ খাওয়া হয় না। তবে চিন্তা করবেন না। পয়সা দিয়ে কেনা খাবার কিন্তু নষ্ট হচ্ছে না। এগুলো ভালো থাকে বহু দিন। যেকোনো লম্বা সফরে গেলেও এগুলো অনায়াসে সঙ্গে রাখতে পারেন।

আলু
আলু সংরক্ষণের সবচেয়ে ভালো পরিবেশ হলো ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অন্ধকার স্থানে রাখা। আর এই উপায়ে এক থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত আলু ভালো থাকে। তাই আলু ফ্রিজে না রাখাই ভালো।

টমেটো
টমেটো আরেকটি সবজি, যা ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হয়। ফ্রিজে রাখলে টমেটোর দেয়ালের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে টমেটো নরম হয়ে যায়। টমেটোকে টাটকা রাখতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় টমেটো রাখতে হয়।  এর দেহত্বকে দাগ না ফেলতে চাইলে এর বোঁটা ওপরের দিকে রাখুন।

পেঁয়াজ
পেঁয়াজ শুকনো স্থানে রাখুন। এতে বহুদিন ভালো থাকবে।

কলা
ফ্রিজে কলা রাখা যায় না। এতে কলার টকটকে ত্বকে কালশিটে পড়ে যায় এবং তা বাদামি রং ধারণ করে। এ ছাড়া পাকা কলা ফ্রিজে রাখলে কলা দ্রুত আরও বেশি পেকে যাবে। ফলে ধরবে পচন। কলারও স্টার্চ চিনিতে পরিণত হয়। এ ধরনের ফল খেলে পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কলা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।

কুমড়া
রুমের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কুমড়ার স্বাদ সবচেয়ে ভালো থাকে। এ ছাড়া স্বাভাবিকভাবে রাখলে এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা ভালো থাকে। তবে কুমড়ার পচন রোধ করে ফ্রিজ।

অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো এমন একটি জিনিস, যা ফ্রিজে পচে না। শক্ত অবস্থায় একটি অ্যাভোকেডো ফ্রিজে রাখার তিন সপ্তাহ পরও তা হুবহু ছিল। তবে রুমের তাপমাত্রায় এটি সংরক্ষণ করুন। এতে একটু দ্রুত পেকে গেলেও তা থেকে অনেক সুন্দর গন্ধ বের হবে। অ্যাভোকাডো খুব দ্রুত অক্সিডাইজ হয় অনিয়মিতভাবে। তবে তা কাটার পর দ্রুত খেয়ে ফেলা ভালো। তবে ফ্রিজে রাখতে হলে অ্যাভোকাডোতে সামান্য লেবুর রস দিয়ে রেখে দিতে পারেন।

রসুন
রসুন এমনিতেই অনেক দিন ভালো থাকে। রান্নাঘরেই দুই মাস রসুন ভালো থাকে। তবে রসুনের গোড়া কেটে ফেললে তা ১০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। অন্যদিকে ফ্রিজে রাখলে তা পেঁয়াজের মতোই বাজে গন্ধ ছড়াবে এবং ফ্রিজেই রসুন দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

Link copied!