পুরো রোজায় ঘরে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই পরিচর্যা করুন নিজের ত্বক।রোজায় এবার গরম পরার সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়াও ১৩–১৪ ঘণ্টা পানিসহ অন্য কোনো খাবার
গ্রহণ করা যাবে না। এসব কারণে আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, ত্বক হয়ে যেতে পারে শুষ্ক।
পানি
ইফতারের পর থেকে সাহ্রি পর্যন্ত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করে নিলে ভালো। ব্যস্ততার কারণে চটজলদি যত্ন নিতে হবে। যেমন পাতলা কাপড়ে অল্প কিছু বরফ নিয়ে সেটা মুখে ঘষে নেওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, দূর হবে তৈলাক্ত ভাব। এ ছাড়া সারা দিনে মুখে কয়েকবার পানির ঝাপটা দেওয়া যেতে পারে, এতে ত্বক থাকবে অনেক বেশি সজীব।
তরমুজ
তরমুজ আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। তরমুজের রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক অনেক সজীব থাকে। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক কিছুটা শুষ্ক, তাঁদের জন্য এই প্যাক দারুণ উপকারী। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, কাঁচা দুধের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
বেসন, জলপাই তেল ও গ্লিসারিন
সপ্তাহে অন্তত এক দিন ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করা উচিত। বেসন মুখ পরিষ্কার করতে বেশ সহায়তা করে। মুগডালের বেসন মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করে। বেসনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এতে ত্বক যেমন পরিষ্কার হবে, তেমনি দূর হবে বলিরেখা। এ ছাড়া দুধের ভেতর খেজুর আর শঙ্খগুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা মুলতানি মাটির সঙ্গে তুলসী ও পুদিনাপাতা
মিশিয়ে নিন। ত্বকে ১৫–২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। ত্বক পরিষ্কারের পর সবচেয়ে বেশি দরকার ময়েশ্চারাইজার। ঘরেই সেটা তৈরি করে নেওয়া যায়। আধা কাপ গোলাপজলে সিকি কাপ জলপাই তেল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এ সময় পানি কম পান করায় ঠোঁটও ফেটে যায়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি দিতে হবে। এ ছাড়া দুধের সঙ্গে জলপাই তেল মিশিয়ে তুলা দিয়ে ঠোঁটে মালিশ করে নিতে পারেন।