• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মন্তব্যে ভারতে তোলপাড়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২, ২০২৫, ০৯:৪১ এএম
পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মন্তব্যে ভারতে তোলপাড়
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের হেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তার এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, “আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।” কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, “ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।”

২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তার একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।

জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।

এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে মুজাফ্ফরাবাদে জেনারেল মুনির কাশ্মীর সংহতি দিবসে এক বক্তৃতা দেন। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন, ‘কাশ্মীরের জন্য পাকিস্তান এরই মধ্যে তিনটি যুদ্ধ করেছে। যদি ১০টি যুদ্ধের প্রয়োজন হয়, পাকিস্তান সেটিও করবে।’

এখন ভারতীয় কর্মকর্তারা জেনারেল আসিম মুনিরের এসব বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার যোগসূত্রতার দিকে ইঙ্গিত করছেন। যদিও এ নিয়ে তাঁরা কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি, তবু তার ওই বক্তব্যে ভারতে পাকিস্তানের ব্যাপারে অবিশ্বাস আরও গভীর হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!