বর্ষায় আপনার পোশাক কেমন হতে পারে?

চলছে ঘোর বর্ষাকাল। এই সময়ে পোশাক পরার ক্ষেত্রে একটু চিন্তা-ভাবনা করতে হয়। তাই যে কোনো রঙের বা ধরনের পোশাক পরে বের হওয়া ঠিক নয়। কেননা আমাদের দেশে ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাক পরতে হয়। সুতরাং বর্ষাকালেও পোশাক বাছাই করতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

বর্ষাকালে জর্জেট, লাইট ক্রেপ, ফেইলি, মার্সেরাইজড কটন, ভিসকস ও ব্লেন্ডেড ফেব্রিকে তৈরি পোশাকগুলো পরিষ্কার করা সহজ। সহজেই দাগও বসে না। বর্ষার গম্ভীর পরিবেশের সঙ্গে কনট্রাস্ট করে এমন রংও প্রাধান্য পায়।

পোশাক বাছাইয়ের সময় মনে রাখতে হবে, বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও যেন অস্বস্তিতে পড়তে না হয়। এছাড়া বৃষ্টির দিনে হালকা প্ল্যাস্টিকের ছাতা, ব্যাগ ও জুতা বেশি ব্যবহার করা হয়।

ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বৃষ্টির দিনে পরার উপযোগী পোশাকগুলোই সিলেকশন করা উচিত। বৃষ্টির দিনে পোশাকের লেংথ একটু কম হওয়া ভালো। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অফিসে যাওয়া তরুণ-তরুণীরা বর্ষার দিনে স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দেন বেশি।

স্মোক, ডলমেন, ল্যান্টার্ন ও ড্রপস্লিভস, টাই-বেল্ট ও হাইনেকের কম্বিনেশন মৌসুমের সবচেয়ে ট্রেন্ডি পোশাকের রেশ এনে দিতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যোগ হতে পারে রুচিশীল হাতের কাজ। শুধু কাজ নয়, কাজের পর পার্টিতে চলে যাওয়া কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় যোগ দিতেও এ পোশাক খুব মানানসই হবে।

পুরুষের জন্য হতে পারে ক্রিউ-নেক ও হেনলি টি-শার্ট, পোলো শার্ট ও শর্টস্লিভ ক্যাজুয়াল শার্ট। এ ক্ষেত্রে ভিসকোস, লিনেন, মার্সেরাইজড কটন, টপ-নোচ নিট ও ব্লেন্ডেড ফেব্রিকে তৈরি পোশাকগুলো ভিজে গেলেও শরীরে কোনো অস্বস্তি তৈরি করে না।

বাঙালির চিরায়ত পোশাক শাড়ির রং ধূসর এবং সাদা জমিনের পাড়ে উজ্জ্বল নীল বা ফুশিয়া পিঙ্ক হতে পারে। কখনো জলভরা মেঘের রং পাড়ে থাকতে পারে। এর সঙ্গে থাকতে পারে পুরুষের ম্যাচ করা পাঞ্জাবি।

বর্ষণমুখর সন্ধ্যার পার্টির জন্য নেওয়া যায় বক্স প্লিট করা ক্রেপ স্টাইল। অথবা হালকা জর্জেট-শ্রাগের লেয়ার দেওয়া টিউনিক। ডেনিম আর টপসেই সাবলীল হলে ক্রেপের শ্রাগেই লেয়ার করা যায়। পার্টির আউটলুককে পারফেক্ট করে তুলতে পারে নান্দনিক অনুষঙ্গের পসরা। পুরুষের পার্টিওয়্যার হিসেবে রঙিন ফুলহাতা শার্ট ও এক্সক্লুসিভ পাঞ্জাবি বাছাই করা যেতে পারে।