শীতকালে জনপ্রিয় অনেক সবজির মধ্যে বেগুন একটি। বেগুন ভাজি, ভর্তা, তরকারি কতভাবেই না রান্না করা হয় বেগুন। সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতের সবজি হিসেবে আলাদা একটি কদর রয়েছে এই সবজিটির। বেগুনের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি।
এই সবজিটিতে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের জন্য খুব উপকারী। বেগুন শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, তারা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন বেগুন। কম কার্বোহাইড্রেট ও বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকায় ডায়াবেটিস কমাতে বেগুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা।
বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতে বেগুন ভর্তা খাওয়ার চাহিদা বেড়ে যায়। কেউ এটিকে পুড়িয়ে ভর্তা করেন, আবার কেউ হালকা সেদ্ধ করে নিয়ে ভর্তা করেন। আজ জানিয়ে দেব বেগুন পুড়িয়ে ভর্তা করার নিয়ম।
যা যা লাগবে
- বেগুন ১ টি
- পেঁয়াজ কুচি -আধা কাপ
- রসুনকুঁচি ৪ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ ( ফালি করা) ৫ টি
- রসুনবাটা আধা চা চামচ
- হলুদের গুঁড়া আধা চামচ
- মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ
- লবণ স্বাদমতো
- আস্ত জিরা ১ চিমটি
- কালো জিরা ১ চিমটি
- ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ
- সরষের তেল - ৪ টেবিল চামচ
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে বেগুনের গায়ে সামান্য তেল মাখিয়ে নিন। এবার আপনার সুবিধামতো চাইলে ওভেনে বা তাওয়াতে দিয়ে পুড়িয়ে নিতে পারেন। এরপর ঠান্ডা করে বেগুনের পোড়া খোসাগুলো ফেলে দিয়ে হাত দিয়ে চটকে নিন ভালো করে।
এরপর কড়াইতে তেল গরম করে আস্ত জিরা ও কালোজিরা দিন। এরপর পেঁয়াজ ও রসুনকুচি দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে। নরম হয়ে এলে অর্ধেক কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভেজে নিন। হালকা বাদামী হয়ে এলে এর মধ্যে রসুনবাটা, হলুদ, ধনে, লবণ ও খুব সামান্য পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
মসলা ভালো করে কষানো হলে চটকে রাখা বেগুন ও বাকি কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়ে চেড়ে নিন ৩ মিনিটের মতো। ওপরে তেল ভেসে উঠলে ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। সবশেষে গরম ভাত, রুটি অথবা পরোটার সঙ্গে খেতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :