চুল পাকলে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না

চুল পাকার জন্য এখন যেন বয়স নির্ভর করে না। যেকোনো বয়সেই ধুম করে পাক ধরে যাচ্ছে চুলে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অকালে চুল পাকার মূল কারণ হতে পারে জিনগত। পরিবারের সদস্যদের চুল যদি তাড়াতাড়ি পাকার সমস্যা থাকে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও তা লক্ষ্য করা যায়।
সেই সঙ্গে স্ট্রেস, পরিবেশদূষণ, অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া ইত্যাদি কারণও অকালে চুল পাকার জন্য দায়ী। এ ছাড়া চুলে কেমিকেলযুক্ত বিভিন্ন প্রসাধনীর ব্যবহারও চুল পাকার এক অন্যতম কারণ। তবে চুল যদি পাকতে শুরু করে তাহলে কয়েকটি ভুল একেবারেই করা যাবে চলুন তবে জেনে জেনে নিই সেগুলো কী।

পাকা চুল তুলবেন না
অনেকেই মাথায় এক বা দুটি সাদা চুল দেখলেই তুলে ফেলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর এখান থেকেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এটা কিন্তু একদমই ভুল পদ্ধতি। এতে সাদা চুলের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে নতুন চুল গজানোও বন্ধ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সাদা চুল তুলে ফেলা সঠিক সমাধান বলে মনে করেন না।

হেয়ার কালার ব্যবহার করবেন না
চুল সাদা হতে দেখলে বেশির ভাগ মানুষ হেয়ার ডাই বা বিভিন্ন কালার করিযে ফেলেন। এতে কিন্তু চুল আরও সাদা হবে। কারণ, রাসায়নিক সমৃদ্ধ চুলের রং অন্যান্য চুলে লাগলে তারও ক্ষতি করে। তার চেয়ে বরং চুল পাকা রোধে ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করুন। এ জন্য আমলা, হেনা ও কারি পাতার মতো ভেষজ উপাদানে ভরসা রাখুন।

অ্যালকোহল ব্যবহার করবেন না
অনেকেই চুলে অ্যালকোহল ব্যবহার করেন। আর এটি চুলের স্বাভাবিক রং হালকা করে সাদা পর্যন্ত করে দিতে পারে। বারবার ব্যবহারে চুলের রং বিবর্ণ হতে শুরু করে। অনেকেই চুল সিল্কি করতে শ্যাম্পুর সঙ্গে বিয়ার মেশান, যা একদমই ভুল পদ্ধতি।

ধূমপান এড়িয়ে চলুন
ধূমপান শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে আপনার চুল সাদা হয়ে গেলে ধূমপান বন্ধ করুন। এটি চুলের ওপরও খারাপ প্রভাব ফেলে। এতে উপস্থিত টক্সিন চুলের ফলিকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে চুল সাদা হয়ে যায়।

প্রসাধনী ব্যবহারে সতর্ক হন

চুলের উপযুক্ত কন্ডিশনার কিংবা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। এমন কোনো চুলের প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না যেটি চুলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়।