• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কোয়েল পাখি পালনের সঠিক নিয়ম


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩, ০৬:৩৩ পিএম
কোয়েল পাখি পালনের সঠিক নিয়ম
কোয়েলের ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর । ছবি : সংগৃহীত

কোয়েল আমাদের দেশে অতি পরিচিত পাখি। এ পাখির আদি নিবাস জাপানে। অনেকে শখ করে কোয়েল পালন করেন বাড়িতে। একে সহজেই পোষ মানানো যায়। এবং পালনের জন্য অতিরিক্ত কোনও চাপও নিতে হয় না। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোয়েল পাখি পালনের কিছু নিয়ম। 

বাড়িতে কোয়েল পাখি পালনের জন্য প্রথমে উপযুক্ত খাঁচা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের খাঁচা রয়েছে যেমন, লেয়ার খাঁচা, ব্রিডার খাঁচা, ব্রডার খাঁচা, বিয়ারিং খাঁচা ইত্যাদি। তবে অল্প জায়গায় যদি বেশি সংখ্যক কোয়েল পাখি পালন করতে চান তাহলে বেটারি পদ্ধতি ব্যবহার করাই ভালো। 

আমাদের দেশে চাষ করার মত কোয়েলের দুটি জাত রয়েছে। একটি হলো, লেয়ার কোয়েল, অন্যটি ব্রয়লার কোয়েল।  এই পাখি চাষের কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি চাইলে বছরের যেকোনো সময়েই কোয়েল পাখির চাষ করতে পারেন। বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। 

তবে খেয়াল রাখতে হবে, কোয়েল পাখির বাসায় যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকে। এছাড়াও কোয়েল পাখির বাসা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ময়লাযুক্ত ডিম সাধারণত রোগ ও জীবাণুর প্রধান উৎস। তাই পাখি বাচ্চা ফুটানোর জন্য সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ডিম বসাতে হবে । তবে খেয়াল রাখবেন বাচ্চা ফুটানোর ডিম কখনও ধোওয়া উচিত নয় ।

কোয়েল ডিম ফোটানোর সময় ডিমে তা দেয় না। এ পাখির বাচ্চা সাধারণত ইনকিউবেটরে ফোটানো হয়। এই কাজ সম্পাদন করতে প্রায় ১৬–১৮ দিন সময় লাগে। 

বাড়িতে কোয়েল চাষ করার ক্ষেত্রে যদি শুধুমাত্র ডিম ফুটাতে চান তাহলে স্ত্রী কোয়েল প্রতিপালন অধিক লাভজনক। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোয়েল পাখি পালনে ব্রুডারের তাপমাত্রা যেন সবসময় সঠিক নিয়মে থাকে। পাখির ক্ষতি হতে পারে ।

কোয়েলের সুষম খাবারের প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে বাজারের ব্রয়লার মুরগির খাদ্য এবং পশুখাদ্য হিসেবে মিক্সার খাদ্যই তাদের সাধারণ খাবার। শুধুমাত্র ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার পর কিছুটা বিশেষ যত্ন প্রয়োজন হয়। 

এইসময় কোয়েলের বাচ্চাকে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হয়। তবে খেয়াল রাখবেন কোয়েলের খাঁচায় যেন যথেষ্ট পানি ব্যবস্থা থাকে। এবং কোয়েল কে দিনে তিনবার খাবার দেওয়ার চেষ্টা করবেন ।

কোয়েলের বেশকিছু রোগ বালাই দেখা যায়। তারমধ্যে আমাশয় উল্লেখ্যযোগ্য। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কোয়েলের বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়ে মারাও যেতে পারে। এর জন্য ব্রুডারে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে হবে ৷ তবে যদি কোনও পাখি অসুস্থ হয় তাহলে তাকে অন্য পাখি থেকে আলাদা রাখতে হবে। অসুস্থ কোয়েলের সংস্পর্শে থাকলে বাকিরাও আক্রান্ত হতে পারে ।

যে খাঁচাতে পাখি পালন করা হবে সেই খাঁচার জালের ফাঁকগুলো একটু ঘন হতে হবে। যাতে মুখ বা গলা সেই ফাঁক দিয়ে বাইরে বেরিয়ে না আসে। এছাড়াও কোয়েলের খাঁচায় যেন ইঁদুর, ছুঁচো, ইত্যাদি না ঢুকতে পারে। 

সর্বোপরি খেয়াল রাখতে হবে, খাঁচায় পানি রাখার পাত্র উল্টে যেন পাখির গা ভিজে না যায়। ভালো জাতের কোয়েল থেকে বছরে অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০টি ডিম পাওয়া যায়। কোয়েল চাষের ঝুঁকি কম। মুরগির মতো কোন টিকা দিতে হয় না।
সামান্য কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলেই শখের পাখিটি পালনে সফল হবেন।

Link copied!