চুল ভাগ করে সাজানো বা সিঁথি করা কবে থেকে শুরু হয় সেটা সঠিক জানা না গেলেও ধারণা করা হয় চল্লিশ দশকের প্রথমে এর প্রচলন ঘটে। চল্লিশের দশক জুড়ে রাজত্ব করে ক্লিওপেট্রা খ্যাত অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেইলরের ‘মিড্ডি’ চুলের কাট। পাশাপাশি কার্ল কিংবা পাম স্টাইলের চুলও দেখা যেতো। কালের বিবর্তনে সিঁথিতে এসেছে নানা বৈচিত্র্য। সিঁথির সবচেয়ে বড় মজা এখানেই।
তবে একেক যুগের ফ্যাশন অনুযায়ী একেক রকম সিঁথি করতে দেখা যায়। চলুন আজ জেনে নেব কয়েকরকম সিঁথির সাজ। সবসময় হয়তো নির্দিষ্ট একদিকে সিঁথি করে অভ্যস্ত আপনি। একদিন অন্যদিকে সিঁথি করে দেখুন! নিমিষেই বদলে যাবে আপনার পুরনো লুক। মাঝ বরাবর করা সিঁথি তো আছেই। পাশাপাশি সাইড সিঁথি কিংবা জিকজ্যাক স্টাইলের সিঁথিতেও সাজাতে পারেন চুল।
মাঝে সিঁথি
আগে পরিপাটি চুল বাঁধা মানেই ছিল মাঝ বরাবর সিঁথি করা। স্কুল কলেজের পোশাকে সঙ্গে মাঝখানে সিঁথি করার চল রয়েছে এখনও। এছাড়া হাত খোঁপা কিংবা দু বেণি করার জন্য আদর্শ মাঝখানের সিঁথি। মাঝের সিঁথি নিয়ে করতে পারেন আরও কিছু স্টাইল। মাথার মাঝ বরাবর সিঁথি করে এক পাশের চুল আটকে রাখুন। অন্য পাশের চুল নিয়ে কপালের কাছ থেকে কানের পেছন পর্যন্ত বেণি করুন। এছাড়া মাঝে সিঁথি করে সামনের চুল ঢেউয়ের স্টাইলে বেঁধে পেছনের চুল বেণি করে খোঁপার চারপাশে কাঁটা দিয়ে লাগাতে পারেন।
সাইড সিঁথি
এক পাশে সিঁথি করে একগোছা চুল কপালে ফেলে রাখলে বেশ লাগে দেখতে। ৬০-এর দশকে এক পাশে সিঁথি করে পেছনে উঁচু করে খোঁপা করা হতো। চাইলে করতে পারেন আপনিও। তারপর সামনে ও পেছনে কিছু চুল রিং আকারে ছেড়ে ফুটিতে তুলতে পারেন চিরাচরিত ট্র্যাডিশনাল লুক। তবে সিঁথি ডানে হবে নাকি বামে সেটা একান্তই আপনার ইচ্ছা, রুচি এবং ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করবে।
আঁকাবাঁকা সিথি
যেকোনো পার্টিতে চুল জমকালো সাজে সাজাতে চাইলে বেছে নিতে পারেন আঁকাবাঁকা স্টাইল। আঁকাবাঁকা এ সিঁথির সঙ্গে মানিয়ে যাবে সব ধরনের সাজ। চিরুনির কোণা দিয়ে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে করতে হয় এ ধরনের সিঁথি। এক্ষেত্রে সিঁথির প্রতিটি কোণ সমান ও নিখুঁত হওয়া জরুরি। আঁকাবাঁকা সিঁথির সঙ্গে চুল খোলা রাখতে পারেন। কিংবা সাইডে সিঁথি করে সামান্য পাফ করে ক্লিপ দিয়ে আঁটকে নিন। টিন এজাররা মাথার মাঝের আঁকাবাঁকা সিঁথি টেনে নিয়ে যেতে পারেন একেবারে পেছন পর্যন্ত। তারপর দুই দিকে পনিটেইল করে ব্যান্ড দিয়ে আঁটকে নিন চুল।
সিঁথির সাজ
আপনার হেয়ার স্টাইল অনুযায়ী সিঁথির মানিয়ে যাওয়া জরুরি। তাই নতুন কোনো হেয়ার কাট নেওয়ার আগে আপনি কোন দিকে সিঁথি করতে স্বাচ্ছন্দ্য সেটা বিউটিশিয়ানকে জানিয়ে রাখুন। একই জায়গায় বারবার সিঁথি করার ফলে অনেক সময় সিঁথি চওড়া হয়ে যায়। এজন্য কিছুদিন পরপর সিঁথি করার স্থান বদলে ফেলা ভালো। সিঁথি যদি চওড়া হয়েই যায়, তবে চুলে এমন ভাবে স্টেপ করুন যাতে ছোট চুল সহজে পাশে পড়ে থাকে।