রাঙা সিঁদুরে বিজয়ার সাজ

আজ বিজয়া দশমী। দেবী মা ফিরে যাবেন কৈলাশে। শারদীয় দুর্গাপূজার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে দশমী। এই দিন ঠাকুরকে সিঁদুর পরানোর পর সবাই মেতে ওঠে সিঁদুর খেলায়। পূজা-অর্চনা শেষে নেচে, গেয়ে দেবীদুর্গাকে বিদায় জানাবে। বিদায় ঘণ্টায় অশ্রুজলে সিক্ত হন ভক্তরা।

দশমী মানে পূজার শেষ দিন। মানে পূজার শেষ সাজ। শেষ দিনের সাজটাও তাই হবে একদম বাঙালিপনায়। লাল পেড়ে সাদা শাড়ি জড়িয়ে মেয়েরা মেতে উঠবেন সিঁদুর খেলায়। শুধু লাল রঙা শাড়িও পরবেন অনেকে। সাদা জামদানি আর লাল ব্লাউজের হাতায় থাকবে নকশা করেও অনেকে নিজেকে সাজিয়ে নেবেন। 

সব বয়সী নারীর সঙ্গেই সহজে মানিয়ে যায় এই সাজ। মাথায় একগুচ্ছ সাদা ফুলের মালা আর কপালে বড় লাল টিপে পরিপূর্ণ হয় দশমীর সাজ। ছোট-বড় সবাই শাড়িতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তবে যদি শাড়ি পরায় আপত্তি থাকে, তবে সাদা আর লালের কোনো পোশাক পরে নিন। সাদা কুর্তির সঙ্গে লাল পাজামা আর লাল দোপাট্টা হতে পারে।

সিঁদুর খেলা শেষে বাড়ি ফিরে দাওয়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই সময় সাজ হবে জমকালো। দশমীর এ দিনে প্রচুর ঘোরাফেরা, দাওয়াত থাকে। তাই মেকআপও হতে হয় জমকালো। প্রথমেই ত্বকের প্রাইমার লাগিয়ে নেবেন। এরপর মেকআপ শুরু করুন। হতে হবে ফুল কভারেজ মেকআপ।

প্রথমে মুখে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে ব্রাশ বা বিউটি স্পঞ্জে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। মুখটাকে উজ্জ্বল দেখানোর জন্য ক্রিম হাইলাইটিং করে নিতে পারেন। আপনার ত্বকের থেকে ২-৩ শেইড লাইট একটা কন্সিলার নিয়ে আপনার চোখের নিচে, কপালে, নাকের ওপরে, থুঁতনিতে, কন্ট্যুরিং লাইনের নিচের দিকে লাগিয়ে নিন। এরপর পুরো মুখে লুজ পাউডার দিয়ে সেট করে নিন।

মুখ স্লিম দেখাতে পাউডার কন্ট্যুরিং করুন। মুখে ব্লাশ লাগাতে ভুলবেন না। ব্যবহার করতে পারেন পিংক, কোরাল, অরেঞ্জ, ব্রাউন, পিচ রং।

আই মেকআপের শুরুতে আইব্রোগুলো একটু ড্রামাটিকভাবই এঁকে নিলেই ভালো লাগবে পুজোর সাজে। আইশ্যাডো হিসেবে বেছে নিন ব্রাউন, রেড, পিচ, গোল্ডেন, কপার কালার। আইলাইনার, মাশকারা, মোটা করে কাজল লাগিয়ে নিন। চাইলে ফলস আইল্যাস পরতে পারেন।

লিপস্টিক হিসেবে পরতে পারেন ব্রাউন, ম্যাজেন্টা, পার্পল, বারগেন্ডি, ন্যুড, কোরাল, পিংকিস ব্রাউন, পিচ ইত্যাদি কালার। সবশেষে মেকআপ ধরে রাখতে মেকআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করে নিন।

ছেলেদের ক্ষেত্রে আবহাওয়ার মেজাজ বুঝেই পোশাকের ধরন ঠিক করা উচিত। দশমীর দিনে সনাতনী সাজে ছেলেদের মানায় ভালো। সকালে সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে কাজ করা ধুতি পরে নিন। যদি একটু কাজ করা পাঞ্জাবি কিংবা শেরওয়ানি পরেন তাহলেও কিন্তু দারুণ মানাবে দিনটাতে। আর কারও যদি দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকে, তাহলে পরতে পারেন জিন্সের সঙ্গে ফতুয়া কিংবা টি-শার্ট। যদি প্রিয়জনের সঙ্গে বের হন তাহলে দিনটাতে সেজে উঠুন তার সঙ্গে মিলিয়েই।