সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দাায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) পরীক্ষার্থীদের পক্ষে রিট করেন ফাতেমা আক্তার সাথী।
এসময় ফাতেমা আক্তার সাথী বলেন, পরীক্ষায় প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন প্রার্থী ছিলেন। অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন—হরতাল, অবরোধ, বৈরি আবহাওয়া ও দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ থাকার কারণে।
এদিকে রিট আবেদনে বলা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, ডিভাইস জালিয়াতি, প্রক্সি ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাই এ পরীক্ষা বাতিল বাতিল চাওয়া হয়েছে।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা শিক্ষা অফিসারদের বিবাদী করা হয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ তুলে গত ১১ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল এবং পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন কয়েকশ প্রার্থী।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা শেষ হয়। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ।
আপনার মতামত লিখুন :