তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল। ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবার দেশটির ছয়টি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছে। আর তাই এবারের নির্বাচনটিকে ‘কঠিন পরীক্ষা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য। দেশটির ইতিহাসে এর আগে কখনো এতগুলো দলকে ‘এক হতে’ দেখা যায়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ছয়টি রাজনৈতিক দলের জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন কেমাল কিলিকদারোগলো। নির্বাচনের আগে যেসব জরিপ চালানো হয়েছে, তাতে দেখা গেছে কেমাল এরদোয়ানের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন।
কেমাল নিজে একজন ধর্মনিরপেক্ষ হলেও তিনি জানিয়েছেন, যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে তুরস্কে নারীদের হিজাব পরার যে অধিকার রয়েছে, এতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবেন না।
এদিকে এবারের নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনের মাত্র তিন আগে মুহারেম ইনস নামের এক প্রার্থী সরে দাঁড়ান। ধারণা করা হচ্ছে এ বিষয়টি এরদোয়ানের জন্য খারাপ হতে পারে।
কেমালের সমর্থকরা ‘স্বপ্ন’ দেখছেন তাদের প্রার্থী কালকের নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন।
তুরস্কের নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে এককভাবে ৫০ শতাংশ বা এর বেশি ভোট পেতে হবে। এমনটি যদি না হয় তাহলে যে দু’জন প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তাদের মধ্যে দুই সপ্তাহ পর রানঅফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশটিতে এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৫০ লাখ তরুণ।
আপনার মতামত লিখুন :