ভারতে জলাধারের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার সময় একজন সরকারি কর্মকর্তার মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে যায়। সেই ফোন উদ্ধারে জলাধারের ২১ লাখ লিটার পানি নিষ্কাশন করেছেন তিনি। জানাজানি হলে এ ঘটনার জন্য তাকে বরখাস্ত করা হয়।
শনিবার (২৭ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ভারতের ছত্তিসগড়ের কানকার জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। ওই কর্মকর্তার নাম রাজেশ বিশ্বাস। তিনি ছত্তিশগড়ের কোইলিবেড়া ব্লকের খাদ্য কর্মকর্তা।
অবশ্য রাজেশ বিশ্বাস দাবি করছেন- জলাধারের পানি ব্যবহারযোগ্য ছিল না। ফোনটিতে সংবেদনশীল সরকারি তথ্য ছিল। তাই এটি পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন ছিল। এসডিওর কাছ থেকে তিনি মৌখিক অনুমতি নেওয়ার সময় জানিয়েছিলেন, তিন-চার ফুট পানি তুললে বড় কিছু হবে না। এতে বরং সুবিধাই হবে চাষিদের।
তার প্রায় লাখ রুপি দামের ফোন পড়ে গিয়েছিল ওই জলাধার। স্থানীয় ডুবুরিরা যখন ফোনটি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয় তখন তিনি পাম্প আনার জন্য অর্থ প্রদান করেছিলেন। যখন ফোনটি পাওয়া গিয়েছে সেটি আর ব্যবহার উপযোগী ছিল না। সোমবার সন্ধ্যায় শুরু হয় ওই পানি নিষ্কাশনের কাজ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলে এই কাজ।
জলাধারের বহু মূল্যবান পানিকে এভাবে নিজের ফোনের জন্য ফেলে দিলেন কর্মকর্তা। শেষ পর্যন্ত সেচ দপ্তর এতে হস্তক্ষেপ করে। কারণ ওই রিজার্ভারের পানি দিয়ে অন্তত ১ হাজার ৫০০ একর চাষের জমিতে পানিসেচ করা যেত। সেই পানিই এভাবে নষ্ট করা হলো।
কর্মকর্তার দাবি, স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি এই কাজ করেছেন। আর ফোনটাও ফিরে পেয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে প্রচণ্ড গরমে খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। পানি সঙ্কট এলাকায়। সেই পরিস্থিতিতে এভাবে পানি ফেলে দেওয়াটা কতটা যুক্তিসংগত।
এ ঘটনার পর রাজেশ কুমারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কানকার জেলার কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা শুক্লা বলেছেন, তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পানি একটি অপরিহার্য সম্পদ এবং এটি এভাবে নষ্ট করা যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :