• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সাগরে শক্তিশালী নিম্নচাপ, তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩, ১০:২৮ এএম
সাগরে শক্তিশালী নিম্নচাপ, তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’

ভারতের কেরালায় জুনের প্রথম দিক থেকেই বর্ষা শুরু হয়। কিন্তু এ বছর দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের কারণে তা বিলম্বিত হচ্ছে। সেই নিম্নচাপ এবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হলে সেটির নাম হবে ‘বিপর্যয়’।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটারের বেশি। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস হলো, বিপর্যয়ের প্রভাবে মুম্বাই ও কোঙ্কোন উপকূলে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি গোয়া থেকে ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম। আর মুম্বাই থেকে ১ হাজার ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

দিল্লির আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ওই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের আকার নিতে পারে। আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে কেরালায় বর্ষা ঢুকতে দেরি হবে। দক্ষিণের এই রাজ্যে মৌসুমি বায়ু ঢুকতে পারে ৭-৮ জুন।

এদিকে কেরালা থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ কর্ণাটকের অভ্যন্তরীণ এলাকাগুলোতেও বৃষ্টি হতে পারে এই সময়ে। এরপর ৯ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বৃষ্টি হবে গুজরাটের উপকূলীয় এলাকায়।

এর আগে ২০২১ সালে বর্ষার সময়েই তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। যদিও সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ তৈরি হলেও তা পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। আঘাত করেছিল মিয়ানমার ও বাংলাদেশে।

বিপর্যয়’ নামটি বাংলাদেশের দেওয়া। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রে ১৩টি দেশের সুপারিশ লাগে। বাংলাদেশসহ এই তালিকায় রয়েছে ভারত, ইয়েমেন, কাতার, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর এই ১৩টি দেশ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নাম সুপারিশ করা হয়। এমন ১৬৯টি নাম জমা পড়ে প্রতিবছর। ইংরেজিতে নামের হরফ ধরে, ক্রমানুযায়ী পালা আসে প্রতিটি দেশের।

Link copied!