• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কর্মীদের ওপর গুলি ছুড়তে শুরু করেছে পুলিশ: পিটিআই


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩, ০৩:১৬ পিএম
কর্মীদের ওপর গুলি ছুড়তে শুরু করেছে পুলিশ: পিটিআই

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেপ্তার ঠেকাতে মঙ্গলবার দিনভর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের। বুধবার (১৫ মার্চ) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো লাহোরে জামান পার্কের বাসভবনের কাছে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর অবস্থান অব্যাহত রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে পিটিআই জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে জামান পার্কের বাড়িটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ‘তীব্র আক্রমণের মুখে’ রয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

রাজনৈতিক দলটি তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পুলিশ ও রেঞ্জার্সদের গুলি করার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দলীয় কর্মীদের ওপর গুলি ছুড়তে শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এটি আজকের কি না তাৎক্ষণিকভাবে তার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে ভিডিওটি শেয়ার করে পুলিশের এমন পদক্ষেপ ঠেকাতে সব সমর্থককে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে পিটিআই।

এছাড়া ইমরান খান টুইটারে গুলির খোসার ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে অভিযোগ করেছেন, পুলিশের ‘গ্রেপ্তার’ দাবিটি নাটক তা পরিষ্কার। টিয়ারগ্যাস ও জলকামানের পর তারা এখন সরাসরি গুলি চালাচ্ছে।

তিনি বলেছেন, ‍আমি গত সন্ধ্যায় একটি জামিন বন্ডে সই করেছি। কিন্তু ডিআইজি তা গ্রহণ করতেও অস্বীকার করেছেন। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই। পুলিশের আসল উদ্দেশ্য (ইমরানকে) অপহরণ ও হত্যা করা।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে দুদিন ধরে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু সমর্থকরা দেওয়াল হয়ে দাঁড়ানোয় এখন পর্যন্ত সেটি সম্ভব হয়নি।

এর আগেও তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছিল পুলিশ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত দায়রা জজ জাফর ইকবাল তোশাখানা মামলায় ক্রমাগত আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হওয়ায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করতে লাহোরে তার জামান পার্কের বাসভবন যায় পুলিশ। সে সময় দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। ইমরান সমর্থকদের ইট-পাথরের জবাবে লাঠিচার্জ, জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।

পিটিআই দাবি করেছিল, তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পরিকল্পনামাফিক হামলা চালিয়েছে পুলিশ। এতে তাদের একজন কর্মী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজন পিটিআই সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

Link copied!