রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রথম ন্যাটো দেশ হিসেবে ইউক্রেনকে চারটি ‘সোভিয়েত যুগের মিগ-২৯’ যুদ্ধবিমান দেবে পোল্যান্ড।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডা জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের হাতে চারটি সাবেক সোভিয়েত আমলে তৈরি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান তুলে দেওয়া হবে।
ইউক্রেনের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ওলেনা কনড্রাটিউক বলেছেন, তিনি আশা করেন অন্য দেশগুলোও এ রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি এফএ-৫০ এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-৩৫ এস বিমান ইউক্রেনকে দিয়েছিল পোল্যান্ড। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধবিমান চাইছে। তাই ওই বিমানগুলো বদলে ইউক্রেনকে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ইউক্রেন অবশ্য আরও আধুনিক যুদ্ধবিমান চায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী মিগ-২৯ চালাতে জানে। ফলে বিমান হাতে পেলেই তারা চালাতে পারবে। কিন্তু মার্কিন এফ-১৬ এর মতো বিমান চালাতে গেলে তাদের অন্তত ৯ মাসের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আর সেই সময় এখন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হাতে নেই। সে কারণেই মিগ-২৯ তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো যুদ্ধবিমান।
কিছুদিন আগেই ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে যুদ্ধবিমান দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল। পোল্যান্ড জানিয়েছে, সব দেশ একসঙ্গে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো উচিত। স্লোভাকিয়াও জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দিতে প্রস্তুত। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জেট পাঠানোর কথা নাকচ করে দিয়েছিলেন।
রাশিয়ার আগ্রাসনের শুরুতে ইউক্রেনের হাতে ১২০টি যুদ্ধবিমান ছিল বলে ধরা হতো। যার অধিকাংশই পুরোনো মিগ-২৯ ও এসইউ-২৭।
ইউক্রেনের সাংসদ কিরা রুদিক বিবিসিকে বলেছেন, “আমাদের বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি শত্রুর পাল্টা আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য যুদ্ধবিমানগুলো প্রয়োজন।”
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উপদেষ্টা ইউরি সাক বলেন, “বিমানগুলোকে আমাদের বিমানবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করবে।”
আপনার মতামত লিখুন :