ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য আসামে টানা ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১২ জেলায় কমপক্ষে সাড়ে ৩৩ হাজার। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সোমবার (১৯ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদন এ খবর জানিয়েছে। শনিবার পর্যন্ত আসামের ৮ জেলায় ৩৭ হাজার ৫০০ জন মানুষ বন্যা কবলিত ছিলেন। প্রশাসন তিন জেলায় ১৬টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ছাড়াও একটি ত্রাণ শিবির চালু করেছে। তবে সেখানে বর্তমানে কেবল ৯ জন অবস্থান করছেন।
আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএসডিএমএ) প্রতিবেদন বলা হয়েছে, কাছাড়, দাররাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, হোজাই, লখিমপুর, নগাঁও, নলবাড়ি, সোনিতপুর, তিনসুকিয়া এবং উদালগুড়ি জেলায় বন্যার কারণে ৩৩ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর মধ্যে লখিমপুরে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। এ জেলায় ২৫ হাজারের বেশি মানুষ বন্যায় ভুগছেন। তারপরেই আছে ডিব্রুগড়। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৮০০। আর তিনসুকিয়ায় প্রায় ২ হাজার ৭০০ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নেয়ামতিঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদ, এনএইচ রোড ক্রসিং-এ এর উপনদী পুথিমারি এবং কামপুরের কপিলি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এএসডিএমএ জানিয়েছে, বন্যায় বর্তমানে ১৪২টি গ্রাম পানির নিচে রয়েছে। আসামজুড়ে এক হাজার ৫১০ দশমিক নয় আট হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ আগামী পাঁচ দিনে আসামের বেশ কয়েকটি জেলায় ‘খুব ভারী’ থেকে ‘অত্যন্ত ভারী’ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
এর আগে গত বছর ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ২০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল রাজ্যটিতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েক লাখ মানুষ। আসামের বন্যার কারণেই সিলেটসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় দেখা দিয়েছিল বন্যা।
আপনার মতামত লিখুন :