• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

গাজায় খাবারের জন্য হাহাকার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩, ১২:৪৩ পিএম
গাজায় খাবারের জন্য হাহাকার
গাজায় খাবারের জন্য অপেক্ষারত শিশুরা। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। এ সংকটের কারণে গাজার বাসিন্দারা রুটির জন্য হাহাকার করছেন। এমনকি ক্ষুধা মেটাতে গাধার মাংস খেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।  

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে রুটির জন্য ভিক্ষা করছে সেখানকার মানুষেরা। তারা এক কৌটা মটরশুটির জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি অর্থ প্রদান করছেন। সেই সঙ্গে পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য গাধাও জবাই করছেন তারা।

মূলত ইসরায়েলের টানা হামলার কারণে খাদ্য সহায়তা ট্রাকগুলো গাজার বেশির ভাগ অংশে পৌঁছাতে পারছে না। যার কারণে ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় ওসিএইচএ জানায়, মিসরের রাফাহ সীমান্ত এলাকায় সীমিত সাহায্য বিতরণ করা হচ্ছে। সেখানে গাজার প্রায় অর্ধেক মানুষ বসবাস করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংস্থাটি বলে, “তীব্র সংঘাত এবং প্রধান সড়কে চলাচল নিষেধাজ্ঞার কারণে গাজার বাকি অংশে সাহায্য বিতরণ অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে।”

বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া আবদেল-আজিজ মোহাম্মদ টেলিফোনে বলেন, “আমার একটি বড় বাড়ি, খাবার ও পানিতে ভরা দুটি ফ্রিজ ছিল। বাড়িতে বিদ্যুৎ সুবিধা ছিল। যুদ্ধের দুই মাস পর এখন আমি কিছু রুটির জন্য ভিক্ষা করছি।” তিনি আরও বলেন, “এটি ক্ষুধার যুদ্ধ। ইসরায়েল আমাদের বাড়িঘর থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। আমাদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা ধ্বংস করেছে। আমাদের আরও দক্ষিণে নিয়ে গেছে, যাতে আমরা হয় বোমার আঘাতে না হয় ক্ষুধায় মারা যেতে পারি।”

ময়দার মতো প্রধান জিনিস পাওয়া এখন এতটাই কঠিন যে যুদ্ধের আগের তুলনায় এর দাম ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জাবালিয়ার সাংবাদিক ইউসুফ ফারেস। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, “আজ সকালে আমি একটি রুটির সন্ধানে গিয়েও খুঁজে পাইনি। বাজারে শিশুদের জন্য মিছরি ও শিমের কিছু ক্যান অবশিষ্ট আছে। এগুলোর দামও ৫০ গুণ বেড়েছে। আমি এমন একজনকে দেখেছি যে তার পরিবারের কয়েক সদস্যকে খাওয়ানোর জন্য একটি গাধা জবাই করেছে।”

ত্রাণবাহী ট্রাক মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশের আগে সেগুলো প্রথমে পরিদর্শন করছে ইসরায়েল। তারপর সেগুলোকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। গত ২০ অক্টোবর থেকে সহায়তা সরবরাহ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত নিতজানা ক্রসিংয়ে ট্রাকগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। ফলে তাদের কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি হয়েছে।

তবে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে অবস্থিত কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে কড়া নজরদারি শুরু করা হয়েছে। সাহায্যকারী কর্মকর্তারা বলেন, সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধাগুলো কমাতে হবে।

Link copied!