ভারত–চীন সম্পর্কের টানাপোড়েন কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে নয়াদিল্লি। পাঁচ বছর পর চীনা নাগরিকদের জন্য পুনরায় ট্যুরিস্ট ভিসা চালু করেছে দেশটি। ২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই ভিসা সেবা বন্ধ ছিল।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উষ্ণ করার ধারাবাহিকতায়ই এ সিদ্ধান্ত এসেছে। এর আগে এ বছরের শুরুতে দুই দেশ পুনরায় সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালুতে সম্মত হয়।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাতে জানা যায়, গত জুলাইয়ে জারি করা নির্দেশনার ভিত্তিতেই চীনা নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা পুনরায় কার্যকর করা হয়েছে। এর মাত্র এক মাস আগেই পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর কৈলাস–মানস সরোবর যাত্রাও আবার চালু হয়।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ১ এপ্রিল পারস্পরিক শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করেন ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুভেচ্ছা জানান দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও লি চিয়াংও।
চলতি বছর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের চীন সফর এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই–এর দিল্লি সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক আলোচনা আরও ঘনিষ্ঠ হয়। সীমান্ত উত্তেজনা কমানো এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়েও উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় ৩১ আগস্ট চীন সফর করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি—সাত বছর পর যা ছিল তার প্রথম বেইজিং সফর। এসসিও সম্মেলনে অংশ নিয়ে মোদি ও শি জিনপিং একে অন্যকে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং অংশীদার হিসেবে দেখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সম্প্রতি ১০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লি–সাংহাই সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট পুনরায় চালু হয়। সাংহাইয়ে পৌঁছানো যাত্রীদের স্বাগত জানান ভারতের কনসাল জেনারেল প্রতীক মাথুর।






































