• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ৩০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ঝুঁকিতে যেসব জেলা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ঝুঁকিতে যেসব জেলা

বাংলাদেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে জোন-১ হলো সবচেয়ে উচ্চঝুঁকিপ্রবণ এলাকা, জোন-২ মধ্যম ঝুঁকিপ্রবণ এবং জোন-৩ নিম্ন ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ মানচিত্র অনুযায়ী, দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু জেলা ভূমিকম্পের দিক থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

উচ্চঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চলে পড়েছে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৯টি জেলা, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, গাজীপুর, নরসিংদীর কিছু অংশ, পুরো কিশোরগঞ্জ জেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং পার্বত্য খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার কিছু এলাকা। এই জোন-১ এলাকা সাধারণত ফল্ট লাইন বা প্লেট বাউন্ডারির কাছাকাছি অবস্থিত।

এর বিপরীতে, দেশের খুলনা, যশোর, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা জোন-৩-এ পড়েছে, অর্থাৎ এখানে ভূমিকম্পের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম।

১৯৭৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে প্রধানত সিলেট, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান এবং কক্সবাজার এলাকা থেকে। এর পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম ও মেঘালয়ের সীমান্ত সংলগ্ন সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলও উচ্চ ঝুঁকিপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত।

বাংলাদেশের চারপাশে পাঁচটি প্রধান প্লেট বাউন্ডারি রয়েছে। এর মধ্যে প্লেট বাউন্ডারি-১ মিয়ানমার থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত বিস্তৃত, প্লেট বাউন্ডারি-২ নোয়াখালী থেকে সিলেট এবং প্লেট বাউন্ডারি-৩ সিলেট থেকে ভারতের দিকে চলে গেছে। এছাড়া ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকায় ডাউকি ফল্ট এবং মধুপুর ফল্ট ভূমিকম্পের সম্ভাব্য উৎপত্তিস্থল হিসেবে চিহ্নিত।

রাজধানী ঢাকায় প্রায় ২১ লাখ ভবন রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ লাখ ভবন দুই তলা বা তার কম উচ্চতার, যা কম ঝুঁকিপ্রবণ। কিন্তু ৪ থেকে ৩০ তলার প্রায় ৬ লাখ ভবন উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। ভূমিকম্পে এই ধরনের ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রাণহানির আশঙ্কা বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর ভূমিকম্প সহনশীল করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. মেহেদী আহমেদ আনসারী মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভূমিকম্প সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে একটি। তিনি বলেন, “শুধু ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পই যদি রাজধানী এবং আশপাশের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাহলে আরও শক্তিশালী কম্পনের প্রভাব ভয়াবহ হবে। কিন্তু ঢাকায় বিল্ডিং কোড মেনে না ভবন নির্মাণের প্রবণতা এখনো কমেনি। সরকারকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।”

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের আরো খবর

Link copied!