• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭
শেখ হাসিনার রায়ে জাতিসংঘ

‘আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করি’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
‘আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করি’

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশে দুঃখ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। গতকাল রাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এক প্রতিক্রিয়ায় যেকোনো পরিস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী অবস্থান তুলে ধরেছেন।

মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে রায় ঘোষণাটি গত বছর বিক্ষোভ দমনে সংঘটিত গুরুতর লঙ্ঘনের শিকারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’

মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমাদের তথ্য-উপাত্তভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে, আমরা দায়ীদের, বিশেষত, নেতৃত্বের এবং কমান্ডের অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক মান অনুসারে জবাবদিহির আওতায় আনার আহবান জানিয়ে আসছি।

আমরা এ-ও জোর দিয়ে বলেছি, ভুক্তভোগীদের কার্যকর প্রতিকার এবং ক্ষতিপূরণের সুযোগ থাকতে হবে।’

রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘যদিও এই বিচারপ্রক্রিয়া আমরা প্রত্যক্ষ করিনি, তবে আমরা সব সময়ই, বিশেষত আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযোগে এমন জবাবদিহি প্রক্রিয়াগুলো নির্দ্বিধায় যথাযথ প্রক্রিয়া ও ন্যায়সংগত বিচারের আন্তর্জাতিক মান পূরণের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছি। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে বিচার পরিচালিত হয়েছে আসামির অনুপস্থিতিতে (ইন অ্যাবসেন্টিয়া) এবং এর ফলে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে।’

রাভিনা শামদাসানি আরো বলেন, ‘আমরা মৃত্যুদণ্ডাদেশের ব্যাপারেও দুঃখ প্রকাশ করছি। কারণ আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করি।’

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভোলকার তুর্ক আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ সত্য উদ্ঘাটন, ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় পুনর্মিলন ও প্রশমনের পথে অগ্রসর হবে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মানসম্মত অর্থবহ এবং রূপান্তরমূলক নিরাপত্তা খাত সংস্কার অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত, যাতে এমন মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন আর কখনো না ঘটে। এই প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে সহায়তা করতে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর প্রস্তুত আছে।’

মুখপাত্র আরো বলেন, হাইকমিশনার ভোলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন। ভোলকার তুর্ক সবাইকে এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংযম প্রদর্শনের অনুরোধ করেছেন।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!