ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে আজ শনিবার সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছাচ্ছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অভ্যর্থনা জানাবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিন দিনের এ সফরে তোবগে’র সঙ্গে ভুটানের ১৩ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল থাকছে, যার মধ্যে দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রীসহ শিল্প ও কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রীরাও অন্তর্ভুক্ত।
বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার গ্রহণের পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দুপুরে তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সেদিনই প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তার একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে, যেখানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, স্বাস্থ্য, কৃষি, টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা, পর্যটন, সংস্কৃতি এবং যুব ও ক্রীড়া—এ সকল খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলাপ হবে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভুটানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, পর্যটন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিষয়ে কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হতে পারে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। একই সঙ্গে ভুটানের পানি ব্যবস্থাপনা ও পেশাজীবী নিয়োগ–সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ তুলে ধরার কথাও রয়েছে।
বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে— আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ, ভুটানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রেরণ এবং কৃষি খাতে সহযোগিতা।
এসব খসড়া এখনও আলোচনায় থাকলেও দুই দেশের কর্মকর্তারা আশাবাদী যে সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন ধারা যোগ করবে।
শনিবার রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল রোববার তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সরকারি উপদেষ্টাদের পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও তার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
২০২০ সালে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির পর থেকে বাংলাদেশ–ভুটান সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ সফরে উভয় দেশ সেই সহযোগিতার পথ আরও সুদৃঢ় করতে চায়।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৪ নভেম্বর, সোমবার সকালে ঢাকা ত্যাগ করবেন। তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।




























