• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়

গিরিখাতে আটকে পড়া ২২ ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩, ১১:২৫ এএম
গিরিখাতে আটকে পড়া ২২ ছাগলকে  বাঁচাতে গিয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু

আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় বৃহস্পতিবার ভারতের গুজরাট উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছে। শত শত গাছ ভেঙে পড়েছে এবং হাজারো গ্রাম বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় আটকে পড়া ছাগল বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন।

শুক্রবার (১৬ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ঝড়ে এখন পর্যন্ত দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যায় দুর্বল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে রাজস্থানের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে।

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের জেরে গুজরাটের বেশ কয়েকটি অংশে ভারী বর্ষণ হয়েছে এবং এর ফলে রাজ্যটির ভাবনগর জেলায় প্লাবিত উপত্যকায় আটকে থাকা ছাগল বাঁচাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় রাজস্ব কর্মকর্তা এস এন ভালা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিপাতের পর সিহোর শহরের কাছে ভান্ডার গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি গিরিখাতে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করে। আচমকা পানির প্রবাহের কারণে একপাল ছাগল ওই খাদে আটকে যায়। এসব গবাদিপশুদের বাঁচাতে ৫৫ বছর বয়সী রামজি পারমার ও তার ২২ বছর বয়সী ছেলে রাকেশ পারমার উপত্যকায় ঢুকে পড়েন। তবে পানির স্রোতে তারা ভেসে যায়। পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, “গিরিখাতে আটকে পড়া ২২টি ছাগল এবং একটি ভেড়াও সে সময় মারা গিয়েছে।” এটি ছাড়া গুজরাট রাজ্যে অন্য কোথাও ঘূর্ণিঝড়-সম্পর্কিত মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কালেক্টর অমিত অরোরা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল হচ্ছে কচ্ছ জেলা। তবে সেখানেও মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

Link copied!