• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঘূর্ণিঝড় মোখা: মিয়ানমারে রেড অ্যালার্ট জারি, আশ্রয়কেন্দ্রে লক্ষাধিক মানুষ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩, ১০:২১ এএম
ঘূর্ণিঝড় মোখা: মিয়ানমারে রেড অ্যালার্ট জারি, আশ্রয়কেন্দ্রে লক্ষাধিক মানুষ

বাংলাদেশের কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রবর্তী অংশ। যা রোববার বিকেলে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আঘাত হানতে পারে। এ কারণে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে মিয়ানমার। এছাড়া দেশটির উপকূলীয় এ রাজ্য থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লক্ষাধিক মানুষকে।

রোববার (১৪ মে) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা, ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ পূর্বাভাস দিয়েছে। মিয়ানমারে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

রাখাইনের সিট্যুয়ের পাশাপাশি কিয়াউকফিউ, মংডু, রাথেদাউং, মাইবোন, পাউকতাও এবং মুনাং শহরে ‘রেড এলার্ট’ জারি করেছে মিয়ানমারের জান্তা। এছাড়া এই শহর ও এলাকাগুলোতে একই সতর্কতা জারি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা-বিরোধী বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার।

আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইং থু খা বলেছেন, গত বুধবার থেকে তারা রাখাইনের প্রায় ১ লাখ ২ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে এবং তাদেরকে স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সরবরাহ করছে। আরাকান আর্মির ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে ঝড়ের পর দুর্গত মানুষের জন্য সহায়তা প্রদান করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের আগে সিট্যুয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাসিন্দা তাদের বাড়ি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন শহরটির বাসিন্দা ও লেখক ওয়াই হিন অং। রাখাইনের এই শহরের জনসংখ্যা এক লাখেরও বেশি এবং মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজে সহায়তা করেছেন ওই লেখক।

ইরাবতী বলছে, সিট্যুয়ে এবং আশেপাশের গ্রাম থেকে আনুমানিক ১৫ হাজার লোক শহরের আর জাটে পাহাড়ের বৌদ্ধ মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ওয়াই হিন অং বলেন, “সেখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষের জন্য খাদ্য, ওষুধ ও টয়লেট ব্যবস্থাপনার জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা এখনো পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।”

এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক উ আয় অং-এর মতে, উপকূলীয় রাথেদাউং শহরের প্রায় ২ হাজার গ্রামবাসী সায়তি পাইন গ্রামের মঠ এবং স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আরাকান আর্মি বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছিল এবং লোকেরা এখনো আমাদের গ্রামে প্রবেশ করছে।”

পাউকতাও টাউনশিপের একজন বাসিন্দা বলেছেন, বৃদ্ধ ও শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য এবং খাবার বিতরণের জন্য আরাকান আর্মি নৌকা ব্যবহার করছে।

Link copied!