ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোকে নির্বাচনে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রিম ইলেক্টোরাল কোর্ট। ডানপন্থী এ রাজনীতিক রায়কে ‘পিঠে ছুরির মারার’ সঙ্গে তুলনা করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে গত বছর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বলসোনারো।
বলসোনারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দাবি করেছিলেন, ব্রাজিলের নির্বাচনে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ব্যালট হ্যাক করে কারচুপির সুযোগ রয়েছে। এই মিথ্যা দাবির মাধ্যমে তিনি দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করেছেন।
সুপ্রিম ইলেক্টোরাল কোর্টের বিচারপতিদের ৫-২ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে এই রায় দেওয়া হয়। এ রায় অনুসারে, ২০২২ সালের ২ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর বিরুদ্ধে নির্বাচনী এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
যদি এ রায় বহাল থাকে, তবে ২০২৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বলসোনারো অংশ নিতে পারবেন না । সেই সঙ্গে ২০২৪ ও ২০২৮ সালের স্থানীয় নির্বাচনেও অংশ গ্রহণের যোগ্যতা হারাবেন তিনি। তবে ২০৩০ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই তার। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সুপ্রিম ইলেক্টোরাল কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে বলসোনারোর আইনজীবীরা আপিল করবেন। তাদের যুক্তি, তৎকালীন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য নির্বাচনী ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলেনি।
গত বছর ক্ষমতায় থাকার সময় ১৮ জুলাই দেওয়া এক বক্তব্য ঘিরে বলসোনারোর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। সেদিন রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় নিজ বাসভবনে বিদেশি কূটনীতিকদের এক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। সেখানে বলসোনারো দাবি করেন, ব্রাজিলে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন হ্যাক করা যায় এবং বড় ধরনের কারচুপিরও সুযোগ আছে।
অক্টোবরের নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোটে কেউই ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় , দ্বিতীয় ধাপের ভোটে গড়ায় নির্বাচন। দ্বিতীয় ধাপের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী নেতা লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হন বলসোনারো।
আপনার মতামত লিখুন :