• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পাকিস্তান-আফগানিস্তানে বন্যা-ভূমিধস, নিহত ৪৪


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৩, ০৩:৩১ পিএম
পাকিস্তান-আফগানিস্তানে বন্যা-ভূমিধস, নিহত ৪৪

আফগানিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টি থেকে প্রবল বন্যার পর অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। অন্যদিকে প্রতিবেশী পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধসে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। আকস্মিক এই বন্যা রাজধানী কাবুল, ময়দান ওয়ারদাক এবং গজনি প্রদেশে আঘাত হেনেছে।

প্রাদেশিক গভর্নরের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্যায় শত শত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ মানুষেরা ধসে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন্যার কারণে শত শত বর্গমাইল কৃষি জমি ভেসে গেছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া কাবুল ও মধ্য বামিয়ান প্রদেশের মধ্যবর্তী মহাসড়কও বন্ধ হয়ে গেছে।

আফগানিস্তানের দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে তালেবানের নিযুক্ত মুখপাত্র শফিউল্লাহ রহিমি রবিবার বলেন, ‘গত তিন দিনের বন্যায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং ৭৪ জন আহত হয়েছে। ৪১ জন নিখোঁজ হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই পশ্চিম কাবুল ও ময়দান ওয়ারদাকের বাসিন্দা। বন্যায় প্রায় আড়াইশ গবাদিপশু মারা গেছে।’

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, কাবুলের পশ্চিমে অবস্থিত ময়দান ওয়ারদাক প্রদেশের জালরেজ জেলায় দ্রুত বাড়তে থাকা বন্যার পানিতে ঘুমের মধ্যে অন্তত ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি বলেন, এ সময় প্রায় ৪০ জন লোক নিখোঁজ হন এবং শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়া শোকাহত পরিবারগুলোকে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন সাহায্য গোষ্ঠী এবং কাবুল প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে রোববার ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে ১৩ জন মারা গেছে। আহত হয়েছেন সাতজন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে গত ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনায় ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দেওয়ায় প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ চিত্রাল জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

পুলিশ কর্মকর্তা রাজা মির্জা হাসান জানান, গিলগিট বাল্টিস্তান অঞ্চলের স্কারদু এলাকায় বড়  ভূমিধসের সময় একটি গাড়িতে থাকা চার পরিবারের সদস্যের সবাই মারা যান।

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র তৈমুর খান বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অন্তত ৭৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৫ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৬ নারী এবং ৪২ শিশুসহ ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আফগানিস্তানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতি বছর গড়ে দুই লাখ মানুষকে প্রভাবিত করে। ২০২২ সালে বর্ষা মৌসুমে রেকর্ড বন্যায় দেশের এক তৃতীয়াংশ অংশ প্লাবিত হয়। সেবার মারা গিয়েছিলেন অন্তত এক হাজার ৭০০ জন।

Link copied!