মালয়েশিয়ায় পা রেখে এশিয়া সফর শুরু করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৌঁছেছেন। এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে নামার পর তাকে স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
ট্রাম্পের সফরের প্রথম কর্মসূচিতে রয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া। এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে গত জুলাইয়ে সীমান্তে সংঘর্ষ হয়েছিল। ট্রাম্প নিজেই সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ‘গ্রেট পিস ডিল’ আমি মধ্যস্থতা করেছি, যা স্বাক্ষর করতে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছি।
মূলত রোববার বিকেলে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা থাকলেও থাইল্যান্ডের রানি মাতা সিরিকিতের মৃত্যুর কারণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল সময় কিছুটা এগিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান। ফলে পৌঁছানোর পরপরই ট্রাম্পের উপস্থিতিতে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হবে।
ট্রাম্প তার বার্তায় থাইল্যান্ডের ‘চমৎকার প্রধানমন্’” হিসেবে চার্নভিরাকুলের প্রশংসা করেন এবং থাই জনগণের প্রতি শোক প্রকাশ করেন।
আসিয়ান সম্মেলন উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো কুয়ালালামপুর শহর। হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায় সব যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে, প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছেন নিরাপত্তাকর্মীরা, আকাশে টহল দিচ্ছে হেলিকপ্টার।
শহরের একটি পার্কে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা থাকলেও পুলিশ সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন অবস্থানের কারণে মুসলিমপ্রধান মালয়েশিয়ায় অনেকেই ট্রাম্পের সমালোচনা করে থাকেন। পুলিশের বাধার কারণে বিক্ষোভকারীরা এখন মূল শহর চত্বরের দিকে সরে গেছেন।
মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়, সে জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি






































