ইসরায়েল-ইরান সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি এ ঘোষণা দেন। তবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয় ইরান, বরং ট্রাম্পের ঘোষণাকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলেছে তারা। তেহরান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, আগামী ‘প্রায় ছয় ঘণ্টার মধ্যে’ এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। যখন উভয় দেশ তাদের চলমান সামরিক অভিযান ধীরে ধীরে গুটিয়ে নেবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এ যুদ্ধকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বলে নাম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা পূর্ণ হলে’ এ যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ বলে বিবেচিত হবে।
ঘোষণায় ট্রাম্প উল্লেখ করেন, এটি এমন একটি যুদ্ধ ছিল যা ‘বছরের পর বছর ধরে চলতে পারতো এবং গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারতো’, কিন্তু তা হয়নি, আর কখনো হবে না।
এদিকে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানের হামলা বন্ধ করার শর্তে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
তবে তেহরান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ঘোষণা দিয়েছেন তা তার আরেকটি মিথ্যা কথা। যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয় ইরান। দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব তারা পাননি। তিনি বলেছেন, ‘ইরান এখনো যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব পায়নি। তাদের কাছে এমন কোনো প্রস্তাবের প্রয়োজনও নেই।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘ইরান স্থায়ী শান্তি অর্জনের আগ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য আমাদের কাছে প্রতারণার অংশ। এই মুহূর্তে শত্রু পক্ষ ইরানের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। আমরা শত্রুর মিথ্যা কথায় কান দিচ্ছি না।’
যদিও কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, কাতারের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হচ্ছে ইরান। দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে তাদের রাজি করাতে সমর্থ হন।
সোমবার রাতে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার কয়েক ঘণ্টার মাথায় এই আলোচনা হয়।
যদিও ইরান ও দখলদার ইসরায়েল কেউই আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়নি।