অন্যান্য সময়ের মতো বর্ষার দিনেও শিশুর প্রতি বিশেষ খেয়াল জরুরি। চিকিৎসা গবেষকরা বলছেন, বর্ষায় পানিবাহিত রোগসহ অন্যান্য সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। বিশেষ করে, শিশুদের জন্য বর্ষার সময়টা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে কিছু সতর্কতা মেনে চলার বিকল্প নেই। চলুন দেখে নেওয়া যাক বর্ষায় শিশুর যত্ন কীভাবে নেবেন-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
এই সময়ে ঠান্ডাজনিত জ্বর, ফ্লু এবং অন্য বায়ুবাহিত ও পানিবাহিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। তাই শিশুর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা দরকার। এজন্য শিশুকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান। এতে আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। শিশুর খাদ্যতালিকায় সবজি রাখুন পর্যাপ্ত।
ঘরবাড়ি পরিষ্কার
শিশু যে ঘরে ও বাড়িতে বসবাস করে সেই জায়গাটি পরিষ্কার রাখুন। ঘরে আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখুন। বৃষ্টির পানি যেন ঘরে প্রবেশ না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। ঘরের স্যাঁতসেঁতে অবস্থা দূর করতে হবে। শিশুর বিছানা, শিশুর ঘর ও খেলার জায়গা শুকনো রাখুন। খেয়াল রাখুন, যেন শিশুর ঘরের তাপমাত্রা ঠাণ্ডা না হয়, আবার অতিরিক্ত ভ্যাপসা না হয়। ঘর থেকে পোকামাকড় তাড়ান। দিনের বেলা শিশু ঘুমালে মশারি টানিয়ে দিন।
বাইরের খাবার দেবেন না
বর্ষাকালে শিশুর মনও খেতে চায় স্বাদের খাবার। ঘরে তৈরি করে খাবার শিশুকে দিন। শিশুর খাবার ও পানি নিরাপদ কিনা খেয়াল রাখুন। বাইরের ভাজাপোড়া, স্ন্যাকস বা অন্যান্য খাবার শিশুকে দিবেন না। বর্ষায় শিশুরা ডায়রিয়া বেশি আক্রান্ত হয়। তাই, নিরাপদ পানি পান করান। মৌসুমি ফল খাওয়ান।
বৃষ্টিতে ভেজাবেন না
বৃষ্টির সময় শিশুরা ঘরের বাইরে যেতে চাইবে। তাদেরকে ঘরের বাইরে বৃষ্টিতে ভেজাবেন না। বৃষ্টিতে গোসল করাতে চাইলে সেক্ষেত্রে শিশুকে সঙ্গে রেখে অল্প সময় বৃষ্টিতে থাকুন। বৃষ্টির পানিতে শিশুকে একেবারে ছেড়ে দেবেন না। স্কুলগামী শিশুদের ব্যাগে রেইনকোট, প্লাস্টিকের জুতা অথবা ছাতা দিয়ে দিন।
শিশুকে সময় দিতে হবে
আপনার সন্তানকে বর্ষা সম্পর্কে জানান। বৃষ্টির পানির উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক নিয়ে শিশুকে সহজ ভাষায় বুঝান। শিশুকে বৃষ্টির সময় ঘরে বসেই সময় দিন। এতে শিশু বর্ষাকাল নিরাপদে উপভোগ করা শিখবে।