মাতৃভূমির জন্য আত্মত্যাগের এক অমর কাহিনির জন্ম দিয়েছিলেন যে নারী, তিনি প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। যুগে যুগে ক্ষণজন্মা বীরেরা শত্রুর হাত থেকে নিজের রক্তের বিনিময়ে দেশমাতৃকাকে মুক্ত করতে চেয়েছেন বারবার। শোষণমুক্তির সংগ্রামে বীরত্বের গল্প অনুপ্রাণিত করেছে হাজার হাজার দেশপ্রেমিককে। তাই এই উপমহাদেশে সব শ্রেণির মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এক অদম্য প্রীতিলতাকে। কেননা, সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের লৌহকঠিন দুঃশাসনের পাজর গুঁড়িয়ে দিয়েছিল চট্টগ্রামের স্বাধীনতাকামীরা।
১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে মাস্টারদা সূর্য সেনের নির্দেশে প্রীতিলতা হামলা করেছিলেন চট্টগ্রামের ব্রিটিশ প্রমোদকেন্দ্র ইউরোপিয়ান ক্লাবে। ২৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে হামলা শেষে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি এবং পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মাহুতি দেন।
আত্মদানের ৯০তম বছরে এই মহান বিপ্লবীর জীবনের অবিস্মরণীয় অজানা গল্প আসছে রুপালি পর্দায়। সরকারি অনুদানে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’ অবলম্বনে ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ। এ চলচ্চিত্রে প্রীতিলতার চরিত্রে অভিনয় করছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা এবং বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের চরিত্রে অভিনয় করছেন মনোজ প্রামাণিক। মাস্টারদা সূর্য সেন চরিত্রে অভিনয় করছেন কামরুজ্জামান তাপু।
পরিচালক প্রদীপ ঘোষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক এবং সংস্কৃতিকর্মী। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত হন এই চলচ্চিত্রের জন্য। ঐতিহাসিক পটভূমিতে নির্মিতব্য এই চলচ্চিত্রটিকে পরিচালক বলতে চেয়েছেন রিয়েল প্লেস মুভি, কারণ ছবিটির শুটিং হয়েছে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতে। আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশের সকল প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন পরিচালক।






























