• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

এ গদ্যটুকু অঞ্জন দত্তের জন্য


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩, ১০:৫৬ এএম
এ গদ্যটুকু অঞ্জন দত্তের জন্য

শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম ব্যাচের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ক্যাম্পাসের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ মাতান বাংলা সংগীতের কিংবদন্তি অঞ্জন দত্ত। কনসার্ট শেষে রাতেই তিনি কলকাতায় ফিরে যান।

অঞ্জন দত্ত এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি ভর করে আছেন অনেকগুলো প্রজন্মের বেড়ে ওঠার স্মৃতিতে। গানের অঞ্জন প্রভাবিত হয়েছিলেন কবীর সুমন দ্বারা। একটা গিটারেও গান সম্ভব। যদি পারি সুর ধরতে। আর মাথা খাটিয়ে লিখতে। বাংলা গানে জীবদ্দশায়ই কিংবদন্তি হয়েছেন এ করে।

এ সব্যসাচীর অন্য প্রতিভা তুলে না আনলে অন্যায় হবে। সাক্ষাৎকারে অঞ্জন বলে থাকেন, “অভিনেতা হতে চেয়েছি। অভিনয়ে ব্যর্থ হয়েই গানে আসি।”

কিন্তু পাওয়া যায় না কোন ব্যর্থ অভিনেতা অঞ্জনের পরিচয়। উল্টো মৃণাল সেন থেকে বহু পরিচালকের সঙ্গে কাজে তিনি ভাস্বর। পুরস্কারও পেয়েছেন। চলচ্চিত্র পরিচালক অঞ্জন দত্ত।

বাংলা ছবিকে বিশ্বমানে নিতে হয় কীভাবে তা জানেন। সিনেমা হলে একই সঙ্গে সাধারণ এবং বোদ্ধা দর্শক কীভাবে আনতে হয়—এ মশলাও তার জানা। সে ধারাতেই চলছেন তিনি। সবার জন্য সিনেমা এ প্রতিজ্ঞা স্পষ্ট হয় তার কাজে। কলকাতার এখন দৃশ্যমান নিউ ওয়েভে অঞ্জন আছেন সামনের সারিতে।

অঞ্জনের গান শুনে বড় হয়েছে নব্বইয়ের প্রজন্ম। ২০০১ সালে আর্মি স্টেডিয়ামের এক কনসার্টে গান গেয়েছিলেন অঞ্জন। নচিকেতাও ছিলেন এ আয়োজনে। অঞ্জনকে অনেকেই মনে রেখেছেন নিমা রহমানের সঙ্গে ‘গানে গানে ভালোবাসা’ অ্যালবামের জন্য।

অঞ্জন দত্তের কাছ থেকে শিখতে ইচ্ছে হয় কীভাবে বুড়ো না হয়ে বাঁচা যায়। এক মানুষ কীভাবে এত কিছু পারেন? শুধু একদিনের কনসার্টে আমাদের জনপদে উড়াল দিয়ে চলে যাওয়া নয়। সব মুহূর্তেই এ মায়েস্ত্রোকে লাগে। বেলা বোস গান থেকে ধার করে বলা যায়—অঞ্জন দত্ত, আপনাকে জরুরি খুব জরুরি দরকার ...   
 

Link copied!