বলিউডের মিষ্টি মুখের অভিনেত্রী অমৃতা রাও। শাহরুখ খানের ‘ম্যায় হু না দিয়ে’ জনপ্রিয়তা পেলেও ২০০৬ সালে ‘বিবাহ’ ছবিটি সুপারহিট হওয়ার পর বলিউডে বেশ পাকাপোক্ত জায়গা করে নেন তিনি। মিষ্টি চেহারা আর নিষ্পাপ ইমেজ তাকে ব্যাপক পরিচিত করে তোলে। তবে খ্যাতির সঙ্গে সঙ্গে আসে চাপও। ধীরে ধীরে বলিউড থেকে অনেকটাই হারিয়ে যান এ নায়িকা।
সম্প্রতি রানভীর আল্লাহবাদিয়ার সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি ক্যারিয়ার ও ব্যক্তি জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, যেখানে অসংখ্য অবাঞ্ছিত বিয়ের প্রস্তাবও ছিল।
অমৃতা জানান, প্রবাসী ভারতীয় (এনআরআই) ভক্তরা তাকে প্রস্তাব পাঠাতেন পরিবারের ছবিসহ—অনেকে আবার নিজেদের গাড়ি বা কুকুরের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে পাঠিয়ে লিখতেন, তাকে বিয়ে করতে চান। তিনি বলেন, “এমনটা শুধু এক-দুজন করেনি।
অনেকেই করেছে! আমি হাসতাম আর ভাবতাম, ‘কী ধরনের মানুষ এরা!’ কেউ কেউ আবার চিঠিও লিখেছে। একবার তো রক্ত দিয়ে লেখা একটি চিঠি পাই, যা ছিল ভীষণ ভয়ানক। এমনও হয়েছে, একজন লোক প্রতিদিন আমার বাড়ির বাইরে টেলিফোন বুথে দাঁড়িয়ে থাকত, আর আমার মা বা বাবা ফোন ধরতে যেতেন। ব্যাপারটা একসময় খুব বিরক্তিকর হয়ে ওঠে।
তবে ভক্তদের ভালোবাসা আর বাণিজ্যিক সাফল্য সত্ত্বেও অমৃতা স্বীকার করেছেন, তিনি নিজের মনের মতো কাজ করতে পারেননি। যে ধরনের চরিত্র তিনি করতে চেয়েছিলেন, সেগুলো তার হাতে আসেনি। বড় বাজেটের ছবির প্রস্তাব এলোও, সেগুলোতে থাকত বেশ জটিল শর্ত। যেমন, কিসিং সিন। অমৃতা ভাবতেন, “আমার কাছে কেন শুধু এমন শর্তযুক্ত প্রস্তাবই আসে?”
এই কারণে তিনি ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রির সামাজিক আড্ডা থেকে সরে আসেন এবং শুধু কাজের ওপর মনোযোগ দেন।
তবে মূলধারার সিনেমা থেকে বিরতি নেওয়ার বেশ কয়েকবছর পর অমৃতা রাও আবারও ফিরছেন ‘জলি এলএলবি ৩’ দিয়ে। এখানে তিনি আবারও অভিনয় করছেন সন্ধ্যার চরিত্রে, যিনি অরশাদ ওয়ারসির চরিত্রের স্ত্রী ছিলেন জলি এলএলবি (২০১৩) ছবিতে। ইতোমধ্যে সিনেমাটি বেশ সাড়া ফেলেছে। আর অমৃতাকে আবারও পর্দায় দেখে উচ্ছ্বসিত তার অনুরাগীরাও। দে