• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

‘হুমায়ূন স্যার ও তার বই ছাড়া বইমেলা অসম্পূর্ণ মনে হয়’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০১:২০ পিএম
‘হুমায়ূন স্যার ও তার বই ছাড়া বইমেলা অসম্পূর্ণ মনে হয়’
বইয়ের মোড়ক ও ডা. এজাজ। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় অভিনেতা ডা. এজাজুল ইসলাম এবার আবির্ভূত হলেন নতুন পরিচয়ে। লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন তিনি। এবারের অমর একুশে বইমেলায় এসেছে হুমায়ূন আহমেদ নিয়ে লেখা তার স্মৃতিগ্রন্থ। নাম ‌‘আমার হুমায়ূন স্যার’। সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত এই বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন আরাফাত করিম।

‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এ প্রায়াই উপস্থিত থাকছেন ডা. এজাজ। পাঠকদের অটোগ্রাফ দিচ্ছেন, কখনো-বা তাদের সঙ্গে হচ্ছেন সেলফিবন্দি। এরই ফাঁকে গণমাধ্যমের মুখোমুখিও হয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে এই স্মৃতিগ্রন্থ লেখার অভিজ্ঞতা।

তিনি বলেন, ‘মেলায় আমার বই আসায় হুমায়ূন আহমেদ স্যারকে খুব মনে পড়ছে। আমি তার সঙ্গে এখানে আসতাম তার বই কিনতে এবং আমার কষ্ট হয় যে তিনি আর পাশে নেই।’

পর্দার বাইরে ব্যক্তিজীবনেও হুমায়ূন আহমেদের কাছের মানুষদের একজন ডা. এজাজ। প্রকাশিত বইটি নিয়ে তার ভাষ্য, ‘আসলে আমি আমার পাঠকদের হুমায়ূন স্যার সম্পর্কে আরও জানানোর জন্য এই বইটি লিখেছি। তিনি আমার ঘনিষ্ঠ মানুষদের একজন ও একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। সবসময় আমি তাকে শিক্ষক হিসেবে দেখেছি। বহুবছর ধরে তাকে নিয়ে একটি বই লেখার কথা ভেবে এসেছি। এই বইটি সেই মুহূর্তগুলো নিয়ে যা সৌভাগ্যবশত আমি তার সঙ্গে কাটাতে পেরেছিলাম।’

পরবর্তীতেও লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায়ের কথা বলতে গিয়ে ডা. এজাজুল ইসলাম জানান, এই স্মৃতিকথার দ্বিতীয় খণ্ড লেখার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। তার মতে, হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাটানো অসংখ্য স্মৃতিকে কেবল একটি বইয়ে লিপিবদ্ধ করা সম্ভব নয়।

এ সময় অনেকটা স্মৃতিকাতরতা ঘিরে ধরে ডা. এজাজকে। তিনি বলেন, ‘হুমায়ূন স্যার ও তার বই ছাড়া একুশে বইমেলা অসম্পূর্ণ মনে হয় এবং আমি পাঠকদের সেই আকুল আকাঙ্ক্ষা অনুভব করতে পারি। যে কারণে তাকে নিয়ে একটি বই লেখার ভাবনা ছিল, পাঠকরা যাতে বইটির মাধ্যমে তার উপস্থিতি অনুভব করতে পারে।’

অভিনয় ও ব্যক্তিজীবন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. এজাজ বলেন, ‘আমি যা কিছু করেছি, তার সব কিছুতেই এক আনন্দময় জীবনযাপন করেছি। একজন চিকিৎসক হিসেবে, আমি আমার সামর্থ্য দিয়ে যতটা সম্ভব রোগীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। একজন অভিনেতা হিসেবে যতটা পারি অভিনয় করার চেষ্টা করেছি এবং এটি আমাকে অনেক আনন্দ ও শান্তি দিয়েছে। এখন একজন লেখক হিসেবেও আমি সন্তুষ্টি বোধ করছি।’

বিশেষ করে কথাসাহিত্যিক-নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করেই তিনি পরিচিতি পেয়েছেন ডা. এজাজ। এরপর থেকে এখন অবধি তিনি তার সাবলীল অভিনয়ের ধারা ধরে রেখেছেন। কাজ করছেন নাটক-চলচ্চিত্রে। অভিনেতার বাইরে তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় হলো—তিনি একজন চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মানবিক চিকিৎসক হিসেবে সুনাম রয়েছে তার। 

Link copied!