• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কার কথা ভেবে এত স্মৃতিমেদুর হলেন শাহরুখ?


তপন বকসি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০২:৪১ পিএম
কার কথা ভেবে এত স্মৃতিমেদুর হলেন শাহরুখ?

সারা পৃথিবীতে পাঠান এর বাঁধভাঙ্গা সাফল্যের আনন্দ উপভোগ করতে করতেই শাহরুখ খান নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কভি হা কভি না’ ছবির ২৯ বছর পূর্তির কথা ঘোষণা করলেন। টেলিভিশনের ছোটপর্দা থেকে হিন্দি ছবির বড় পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে দিল্লির ছেলে শাহরুখ মুম্বাইয়ে এসে প্রথম দিকের যে কয়েকটি হিন্দি ছবির কাজ করেন, ‘কভি হা কভি না’ তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ছবি। যে ছবিটি রিলিজ করেছিল ১৯৯৪- এর ২৫ ফেব্রুয়ারি।

শাহরুখের সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি, দীপক তিজোরি, সতীশ শাহ এবং নাসিরুদ্দিন শাহরা। অন্য স্বাদের গল্পের জন্য ছবিটিকে ভীষণ পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ২৯ বছর পর সেই ছবিটির কথা বলতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েছেন কিং খান।

‘কভি হা কভি না’ ছবির একটি সাদা-কালো স্থিরচিত্র প্রকাশ করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায়  শাহরুখ লিখেছেন, “সেই সময়, সেই কাঁচা  বয়সে সবকিছুই যখন অনিয়ন্ত্রিত, যার এখনো অনাবিষ্কৃত কিছু শিল্পকলা ভারতের সেরা কিছু শিল্পী কলাকুশলী এবং পরিচালক যারা ঘিরে ছিলেন এই ছবিটির নির্মাণ জুড়ে তাদের সবাইকে এখনও আমি ভীষণ মিস করি। যে ছবি আমাকে শিখিয়েছে হয়তো এই মুহূর্তে তুমি কিছু হারালে কিন্তু বাকি সব কিছুর জন্য তুমি জিতে গেলে। আমি নিশ্চিত এই পৃথিবীর কোনো প্রান্তে, কোথাও সুনীল-এর বেলায় ঠিক তাই হয়েছিল।”

২৯ বছর আগের কুন্দন শাহ পরিচালিত এই ছবি সম্পর্কে আবেগ তাড়িত হওয়া শাহরুখের এই পোস্ট দেখে অনুরাগী  লিখেছেন, “এখনও পর্যন্ত আমার দেখা সেরা ছবি, এখনও সেই সুনীল সবার কাছেই সমান প্রিয় হয়ে আছে।” আর এক অনুরাগী লিখেছেন, “স্বদেশ -এর পর যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে বলব, ‘কভি হা কভি না’-এর সুনীল  আমার সবচাইতে হৃদয়ের কাছের চরিত্র। যে সুনীলের মধ্যে শিশুসুলভ পাপশূন্যতা ছিল। যে ছবিটি আমাকে পুরনো দিনের গোয়া এবং তার সংস্কৃতিকে মনে  করিয়েছে। ছবিটির পরিবেশ, চরিত্রগুলি বাস্তবধর্মী, যা জীবনকে ছুঁয়ে যায় পরতে পরতে।”
 

Link copied!