• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি থেকে ইস্তফা সায়ন্তিকার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
রাজনীতি থেকে ইস্তফা সায়ন্তিকার
অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন নেত্রী-অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে সায়ন্তিকা তার ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি গত ৩ বছর ধরে দলের সামগ্রিক রাজনৈতিক-প্রতিবাদী এবং উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। দলের সুনির্দিষ্ট আদ‌র্শ অনুসরণ করে সমস্ত কর্মসূচিতে সক্রিয় ভাবে আংশগ্রহণ করেছি। এই পর্যায়ে, আমি দলের সমস্ত রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’
এই সিদ্ধান্ত একান্তই ‘ব্যক্তিগত’ বলে ইস্তফাপত্রে উল্লেখ করেছেন সায়ন্তিকা। যদিও রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন লোকসভা নির্বাচনে আসন না পেয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়ন্তিকা। ব্রিগেডের ‘জনগর্জন সভা’র মঞ্চ থেকে আসন্ন লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় অনেক নতুন নাম থাকলেও টিকিট পাননি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন সায়ন্তিকা। বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানা-র কাছে হেরে যান তিনি। তবে ভোটে হারলেও অভিনেত্রীকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দলের রাজ্য সম্পাদকও করা হয়েছিল তাঁকে। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, গত তিন বছর ধরে লাগাতার বাঁকুড়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন তিনি। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচী ছাড়াও বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে জনসংযোগও রেখেছিলেন। তাই বাঁকুড়া লোকসভা থেকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যাশী ছিলেন সায়ন্তিকা।

তৃণমূল সূত্রে খবর, বাঁকুড়া লোকসভা থেকে টিকিট পাবেন বলে নিশ্চিতও ছিলেন। কিন্তু শেষমেশ প্রার্থী করা হয়নি তাঁকে। রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে যখন সায়ন্তিকা প্রবেশ করেন, তখন বেশ চনমনেই দেখাচ্ছিল তাঁকে। মঞ্চে আরও যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে কয়েক জন জানান, অভিষেক প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করতেই দেখা যায়, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে অরূপ চক্রবর্তীকে। এর পরেই হতাশায় মুখ ঢেকে যায় সায়ন্তিকার।

প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার পর র‌্যাম্পওয়াক সেরে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে এ দিনের সভা শেষ করা হয়। কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করেননি তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তার আগেই ফোনে কথা বলতে বলতে মঞ্চ থেকে নেমে যান সায়ন্তিকা। এর পরে পরেই তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিনেত্রী।

 

Link copied!