আজ মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে সংবাদ মাধ্যমের বেশকিছু প্রতিনিধিদের সামনে নিজের ৪৪তম জন্মদিন পালন করলেন ইমরান হাশমি। রাউন্ড নেক স্কিন ফিটেড কালো টি-শার্ট এবং শ্যামলা রঙের ট্রাউজার পরা ইমরান বললেন, “আরও একটা বছর আমার জীবনে যোগ করলাম। ভাবতেই পারছি না কী করে দেখতে দেখতে কুড়িটা বছর কাটিয়ে দিলাম এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। আমার এই কুড়ি বছরের অভিনয় জীবনে আপনাদের সবার সান্নিধ্য এবং সাহায্য পেয়েছি। সান্নিধ্য এবং ভালোবাসা পেয়েছি আমার দর্শকদের। আজকের দিনে আপনাদের সবাইকে আমার কুর্নিশ।”
১৯৬৮ সালে রিলিজ হওয়া হিন্দি ছবি ‘বাহারোঁ কে মঞ্জিল’ ছবিতে মীনা কুমারীর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। ওই ছবিতেই একটি বিশেষ পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হাশমি। তিনিই ইমরান হাশমির বাবা। এই আনোয়ার হাশমি হলেন পরিচালক মহেশ ভাটের মা শিরিন মোহাম্মদ আলীর ছোট বোন মেহের বানুর (তিনিও হিন্দি সিনেমার নায়িকা ছিলেন। যার স্ক্রিন নেম ছিল পূর্ণিমা) প্রথম পক্ষের ছেলে। অর্থাৎ সম্পর্কের দিক থেকে আনোয়ার হাশমি ছিলেন মহেশ ভাটের মেসোমশাই। আর ইমরান হাশমি হলেন মহেশ ভাটের মাসতুতো ভাই।
২০০৩ সালে পরিচালক বিক্রম ভাটের ‘ফুটপাথ’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন বিপাশা বসু, ইরফান খানের সঙ্গে। এর পরের বছরই ‘মার্ডার’ ছবিতে নায়িকা মল্লিকা শেরাওয়াতের সঙ্গে ধারাবাহিক চুম্বন দৃশ্যগুলি তাকে ‘হিন্দি সিনেমার সিরিয়াল কিসার’ আখ্যা দিয়েছিল। ২০০৬ সালে ইমরান বিয়ে করেন তার ছয় বছরের প্রেমিকা পারভিন সাহনিকে। ২০১০ সালে তাদের ছেলে অয়ানের জন্ম হয়। অভিনয় জীবনে ‘গ্যাংস্টার’, ‘ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বই’, ‘মার্ডার ২’, ‘জান্নাত`, ‘রাজ’, ‘জান্নাত ২’, ‘রাজ থ্রি’, ‘হামারি অধুরি কহানি’, ‘মুম্বই সাগা’র মতো ৪৫টি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন ইমরান হাশমি। অভিনয় করেছেন নেটফ্লিক্সের সাড়া জাগানো ওয়েব সিরিজ ‘বার্ড অফ ব্লাড’-এ প্রফেসর কবীরের চরিত্রে।
ইমরানের আগামী ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘ফাদার্স ডে’, ‘গ্রাউন্ড জিরো’, ‘সব ফার্স্ট ক্লাস হ্যায়’, ‘ক্যাপ্টেন নবাব’ এবং ‘টাইগার ৩’। এরমধ্যে ‘টাইগার ৩’ ছবিতে তিনি সালমান ও শাহরুখের সঙ্গে অভিনয় করেছেন একটি বিশেষ খলনায়কের চরিত্রে।