একসময় দিনের খাবার জোগাড় করাই ছিল সবচেয়ে বড় সংগ্রাম। মাথার ওপর স্থায়ী ছাদ ছিল না, পকেটে টাকা ছিল না। অথচ আজ তিনি ভারতের টেলিভিশন দুনিয়ার অন্যতম পরিচিত মুখ—রাশমি দেশাই। খ্যাতি, আর্থিক সচ্ছলতা ও বিলাসী জীবনের এই পর্যায়ে পৌঁছাতে তাঁকে পার হতে হয়েছে লড়াইয়ের অগণিত ধাপ।
ভোজপুরি সিনেমা থেকে উঠে আসা এক তারকা
রাশমি দেশাইয়ের অভিনয়জীবন শুরু ভোজপুরি চলচ্চিত্র দিয়ে। ২০০৪ সালে ‘বালমা বড়া নাদান’ ছবিতে অভিষেকের পর ‘গজব ভাইল রেহনা’, ‘তোহসে পেয়ার বা’, ‘কাঙ্গনা খাঁকে প্যায়ারা কে অঙ্গনা’সহ বহু ছবিতে অভিনয় করে দ্রুত জনপ্রিয়তা পান। পরবর্তী সময়ে হিন্দি টেলিভিশনে তারকা হয়ে ওঠেন তিনি।
সফলতার আগে ভয়াবহ সংকট
কিন্তু এই সাফল্যের পথ মোটেও সহজ ছিল না। পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে রাশমি জানান, একটি টিভি সিরিয়াল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যেন সবকিছু ভেঙে পড়ে।
নিজের থাকার জন্য একটি বাড়ি কিনেছিলেন তিনি। সেই সিদ্ধান্তই পরে তাঁর জীবনে এনে দেয় বিপুল ঋণের বোঝা।
রাশমির কথায়, “আমার মোট ঋণ ছিল প্রায় ৩.২৫ থেকে ৩.৫ কোটি রুপি। আমি ভেবেছিলাম সব ঠিক আছে, কিন্তু বাস্তবে চার দিন রাস্তায় কাটাতে হয়েছিল আমাকে।”
সেই সময়ে খাবারের জন্যও পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। ২০ রুপির খাবার খেয়েই দিন গুজরান করেছেন তিনি।
হাল ছাড়েননি, থেমে যাননি
সংকট যতই কঠিন হয়েছে, রাশমি ততই নিজের লড়াই জোরদার করেছেন। ছোট চরিত্র, কম বাজেটের শো কিংবা স্বল্প পরিচিত প্রকল্প—যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন, কাজে লেগেছেন। কারণ তাঁর বিশ্বাস ছিল—একদিন ঠিক নিজের জায়গা তিনি ফিরে পাবেন।
অবশেষে সাফল্যের শিখরে
রাশমির সেই অক্লান্ত পরিশ্রম আজ তাকে টিভির বড় তারকা বানিয়েছে। পিংকভিলার তথ্যমতে, বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১১ কোটি রুপির বেশি। দীর্ঘ সংগ্রাম পেরিয়ে সচ্ছলতা, স্থায়ী ক্যারিয়ার এবং অগণিত ভক্ত—আজ সবই তাঁর অর্জনের তালিকায়।
































