• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

রিপন মিয়া মাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘তোমারে দেহি না আমি’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ০৭:৫৩ এএম
রিপন মিয়া মাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘তোমারে দেহি না আমি’
ছবি : সংগৃহীত

আবারও আলোচনায় রিপন মিয়া। সামাজিক মাধ্যমে মঙ্গলবার তাকে নিয়ে ছিল চর্চা। একদিকে রিপন মিয়াকে নিয়ে টেলিভিশনের প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগ, অন্যদিকে তার মায়ের কাছে গিয়ে কান্না করা রিপনের ভিডিও—দুই বিপরীত দৃশ্য একসঙ্গে নাড়া দিয়েছে পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে।
দুপুরে একটি একাধিক পেজ ও চ্যানেল প্রচার করে একটি প্রতিবেদন। সেখানে রিপনের মা অভিযোগ করেন, ‘খুব কষ্ট করে মানুষ করছি। কিন্তু এখন পরিচয় দেয় না। আমরা গরিব। পরিচয় দিলে যদি ওর মানসম্মান না থাকে!’

ওই খবরে বলা হয়, জনপ্রিয়তার চূড়ায় ওঠা রিপন এখন মা–বাবার সঙ্গে থাকেন না; আলাদা পাকা বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন, কিন্তু মা-বাবাকে ভরণপোষণ দেন না।

এটি প্রচার হতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। কেউ লিখেছেন, ‘খ্যাতি মানুষকে মানুষ থাকতে দেয় না।’ আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘মায়ের কষ্টের কান্না শুনে রিপনের ভিডিও দেখা যায় না।’

রিপন মিয়া মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। আঞ্চলিক টানে বলতে শোনা যায়, ‘তোমারে দেহি না আমি? আব্বারে দেহি না আমি? তুমি ইড্ডা কী করলা?’

এই সমালোচনার মাঝেই মঙ্গলবার রাতেই ছড়িয়ে পড়ে এক নতুন ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, রিপন মিয়া মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। আঞ্চলিক টানে বলতে শোনা যায়, ‘তোমারে দেহি না আমি? আব্বারে দেহি না আমি? তুমি ইড্ডা কী করলা? আমার জীবনডা শেষ করলা!’

এ সময় মাকেও দেখা যায় ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। ভিডিওটি প্রকাশের পরেই পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। যাঁরা সমালোচনা করছিলেন, তাদের অনেকেই লিখেছেন, ‘মা-ছেলের সম্পর্ক সবচেয়ে পবিত্র। সাময়িক ভুল–বোঝাবুঝি মিটে যাক।’

রিপন মিয়া বলেন, ‘এই ঘটনা নিয়ে কথা বলার মানসিক অবস্থায় আমি নেই। তবে খুব তাড়াতাড়ি সব প্রশ্নের উত্তর আমি দেব। আমি আমার পরিবারকে সব সময় দেখে এসেছি। ভবিষ্যতেও দেখে যাব। আমার যদি কোনো ঘাটতি থাকে তা–ও পূরণ করব। তবে আমার সরল বাবা-মাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার একদিন হবে।’

Link copied!