চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আব্দুল হক বলেছেন, “এত অদক্ষ ও অগ্রহণযোগ্য প্রশাসনের পক্ষে এই বিশ্ববিদ্যালয় চালানো সম্ভব নয়।”
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রফেসর আব্দুল হক এ কথা বলেন।
শিক্ষক সমিতির আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘সংবাদ প্রদর্শনীর’ জন্য নির্মিত স্থাপনা তুলে ফেলার অপচেষ্টার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ সভায় শিক্ষক সমিতির অন্যান্য সদস্যরাও বক্তব্য রাখেন।
প্রফেসর আব্দুল হক বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত ভঙ্গুর এবং এত বেশি নতজানু পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে, যে কেউ যা কিছু করতে পারে। প্রশাসন এমন একটি বিচারহীনতার অবস্থা তৈরি করে ফেলেছে যে, এখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকর্তারা কেউই নিরাপদ নয়। এত অদক্ষ এবং অগ্রহণযোগ্য প্রশাসন দ্বারা এত বড় বিশ্ববিদ্যালয় চালানো সম্ভব নয়। এর একটা সমাধান দরকার। আর এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ।”
শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আলী আহসান চৌধুরী বলেন, “আমাদের এই আন্দোলন হলো প্রশাসনের অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে। আমরা প্রশাসনের যাবতীয় দুর্নীতি সংবাদ প্রদর্শনীর মাধ্যমে সবার সামনে উন্মোচন করছি। প্রশাসন আমাদের এই ছোট্ট আয়োজন (সংবাদ প্রদর্শনীর জন্য নির্মিত স্থাপনা) সহ্য করতে পারছে না, নিরাপত্তা দিতে পারছে না। তাহলে কী করে আমাদের এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দেবে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেবে?”
এ সময় সংগীত বিভাগের শিক্ষক কৌশিক আহমেদ বলেন, “প্রশাসন নির্লজ্জ ও ভঙ্গুরতার কতটা ধাপ অতিক্রম করলে নিরাপত্তা কর্মীকে রাতের বেলা রামদা-লাঠি নিয়ে হুমকি দিয়ে স্থাপনাকে তুলে ফেলার অপচেষ্টা চালায়। আমরা এর প্রতিবাদ করছি এবং এই অনিরাপদ প্রশাসন যেন দ্রুত পদত্যাগ করে সেই দাবি জানাচ্ছি।”
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বখতেয়ার উদ্দিন বলেন, “এই প্রশাসনের দুর্নীতির কথা জাতির সামনে উন্মোচন করতে শিক্ষক সমিতি সংবাদ প্রদর্শনী করেছিল। প্রশাসন তাদের দুর্নীতি কর্মকাণ্ড প্রচারের ভয়ে শিক্ষক সমিতির সংবাদ প্রদর্শনীর স্থাপনার নিরাপত্তা দেয়নি। যে প্রশাসন ছোট একটা স্থাপনার নিরাপত্তা দিতে পারে না, তার এত বড় বিশ্ববদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদে থাকার কোনো অধিকার নাই। আমরা চাই আপনারা অতিদ্রুত পদত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতি মুক্ত করবেন।”
গত ২৩ জানুয়ারি থেকে শিক্ষক সমিতি প্রশাসনের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :